Posts

ইবাদতে মাইকের ব্যবহার নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন (প্রথম পর্ব)

Image
 বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ইসলামের মূলনীতির আলোকে, ইবাদতে মাইকের ব্যবহারের বিভ্রান্তি নিরসনে , "ইবাদতে মাইকের ব্যবহার কি বৈধ? "  Is allowed loudspeaker use in prayer? আবুবকর সিদ্দিক *******************************  কেন এ-বই? সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামিনের জন্য, যার নিয়ন্ত্রণে আমাদের জীবনের বাগডোর। অসংখ্য সালাত ও সালাম প্রিয় নবী জনাব মুহাম্মদ (সা) ও তার বংশধর এবং সাহাবায়ে আজমায়ীনদের প্রতি। সম্মানিত পাঠক! আপনার মনে হয়তো এ প্রশ্ন জাগ্রত হতে পারে, শরীয়তের অসংখ্য বিষয় থাকতে আমি এ বিষয়ে বই লিখলাম কেন? আমি যে গ্রামে জন্মেছি সে গ্রামের অধিকাংশ মুসলিম নামের লোকগুলো কোরান সুন্নাহ থেকে অনেক দূরে। তারা শরীয়তের কোনো বিষয়ে কোরান সুন্নাহর দারধারে না। পূর্বপুরুষদের কাজ থেকে যা পাই তা দৃঢ় ভাবে অনুসরণ করে। এরূপ গ্রামে "নাজায়েজ" নামক নতুন এক ফিরকার উদ্ভব হয়েছে। নতুন এ ফিরকার মূল কথা হলো, "ইবাদতে মাইক ব্যবহার করা শিরিক হারাম এবং যারা ব্যবহার করবে তারা সবাই কাফের মুশরিক "। তাদের এরূপ ফতোয়া শোনে আমি খুবই চিন্তিত হলাম আর ভাবলাম, যে মাইক রাসূল (সা) এর যুগ

প্রশ্ন: ফরজ সালাতের পর ইমামের সাথে সম্মিলিত মুনাজাত করা কি বিদা'আত?

প্রশ্ন: ফরজ সালাতের পর ইমামের সাথে সম্মিলিত মুনাজাত করা কি বিদা'আত? উত্তর : মুনাজাত দোয়া করার একটি বিশেষ পদ্ধতি। যেমন রুকু করা, সিসদাহ করা সালাত আদায়ের পদ্ধতি। দুহাত তুলে ভিক্ষুকের মতো করে মহান রবের কাছে দোয়া করা, নিজের আকুতি মিনতি পেশ করার নিয়মকে মুনাজাত বলে। এই মুনাজাত বিশ্বের সকল মুসলিম করে থাকে। নবীজি (সা:)ও এই ভাবে মুনাজাত করেছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ফরজ সালাতের পর সম্মিলিত মুনাজাত বিদা'আত কিনা, যা আমাদের উপমহাদেশের কিছু কিছু মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত আছে। আসলে নবীজি (সা:) ফরজ সালাতের পর মুনাজাত করেছিল এমন কোন তথ্য প্রমান পাওয়া যায়না। নবীজি (সা:) ফরজ সালাতের পর কিছু মাসনূন দোয়া ও তাসবিহ পড়তেন। যা হাদিসে উল্লেখ আছে। কিন্তু তা বাদ দিয়ে সম্মিলিত ভাবে মুনাজাত করা কোন অবস্থাতে ঠিক হতে পারেনা। বরং এটা বিদা'আত। আরব দেশ গুলোতে ফরজ সালাতের পর ইমামের সাথে সম্মিলিত মুনাজাত আদৌ প্রচলিত নেই। যারা আরব দেশে গেছে তারা এটা ভালই জানে। তাছাডা মসজিদে তখনো অনেক মুসাল্লি সালাত (নামাজ) আদায়রত অবস্থায় থাকে। এই অবস্থায় সম্মিলিত মুনাজাত তাদের সালাতের ডিস্টাবের কারণও হতে পারে। তাই সবচ

বিশেষ ব্যক্তিদের নামের শেষে সাঃ আঃ রাঃ রহঃ হাফিঃ দোয়া সূচক বাক্যের ব্যবহার।

Image
বিশেষ ব্যক্তিদের নামের শেষে দোয়া সূচক বাক্য সমূহ সুন্নী ইসলামে একটি বিশেষ ধারায় ব্যবহার হয়ে থাকে। অর্থাৎ সম্মান ও মর্যাদা ভেদে তারা দোয়া সূচক শব্দ সমূহ একেক মর্যাদার মানুষের একেকটি ব্যবহার করে থাকেন। নামের পর দোয়া সূচক বাক্য সাঃ আঃ রাঃ রহঃ হাফিঃ ব্যবহার। যেমনঃ নবী মুহাম্মদের নামের পর বলা হয় (সাঃ), অন্যান্য নবী ও ফেরেশতাদের নামের পরে বলা হয় (আঃ) সাহাবীদের নামের পর বলা হয় (রাঃ) সর্বশেষ অন্যান্য নেককার বান্দা যেমন, তাবেঈ, তাবে তাবেঈ, ফকিহ, মুহাদ্দেসদের নামের পর বলা হয় (রহঃ)। এছাড়াও সাধারণ জীবিত মুসলিমদের নামের পরে বলা হয় (হাফিঃ)। এই কথা সত্য যে অর্থগত দিক বিবেচনা করলে সবার নামের পর ইচ্ছা মতো যেকোন একটা বলা দোষের কিছু নেই তবুও সুন্নি ইসলাম তাদের মরযাদায় ভিন্নতার কারণে দোয়া সূচক শব্দের ব্যবহারে ভিন্নতাকে পছন্দ করেছে। সেই সালাফদের মধ্যে থেকে এই ধারা অব্যাহত আছে। আমিও (লেখক) তাতে একমত। দুনিয়ার সকল সুন্নী বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন। তবে শিয়াদের ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা যায়, যেমন আমরা (সুন্নিরা) পূর্বের সকল নবীদের নামের পর (আঃ) বাক্যটি লিখি। কিন্তু শিয়ারা তাদের ইমাম ও আহল

6:151 Al-Quran Surah Al Anam -151