Posts

Showing posts from May, 2022

হাদিসের দোহাই দিয়ে রাসূল সাঃ শানে প্রচলিত আজগুবি, বিভ্রান্তিকর ও শিরকী কথা বলার আগে কুরআনের আয়াত দিয়ে তা যাচাই করুন

Image
❤️❤️❤️ Bismillahir Rahmanir Raheem ❤️❤️❤️  ✋ হাদিসের দোহাই দিয়ে রাসূল সাঃ শানে প্রচলিত আজগুবি, বিভ্রান্তিকর ও শিরকী কথা বলার আগে কুরআনের আয়াত দিয়ে তা যাচাই করুন ✋  উযাইর (রহঃ) ছিলেন ইহুদিদের মধ্যে একজন নেককার আল্লাহর বান্দাহ! তার শান বাড়াতে গিয়ে শেষপর্যন্ত ইহুদিরা তাকে আল্লাহর পুত্র বলে ঘোষণা করেছিল। (নাউজুবিল্লাহ)।  ঈসা (আঃ) ছিলেন, খ্রিস্টানদের নবী। এবং মরিয়ম (আঃ) ছিলেন ঈসা (আঃ) এর মা। বলা যায় ঈসা (আঃ) এর জন্মটা ছিল অলৌকিক নিরদশন। খ্রিষ্টান সম্প্রদায় "আদম ও হাওয়া আঃ আল্লাহ তাদের পিতা মাতার ঔরস ছাড়াই সৃষ্টি করেছিল" এই কথা বিশ্বাস করলেও ঈসা আঃ যে মানুষ ও আল্লাহর বান্দাহ, এই কথাটি তারা তা বিশ্বাস করতে চাইনা। খ্রিস্টানরা মনে করে যে, মরিয়ম আঃ ও ঈসা আঃ যদি মানুষ হন তাতে তাদের (মরিয়ম ও ঈসা) সম্মান ও মরযাদা কমে যাবে। এই ধ্যানধারণা থেকেই তারা তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসে অনড় থাকে। এই হলো আহলে কিতাবিদের ধ্যানধারণা।  এইবার আসি #উম্মতি_মুহাম্মদীর ধ্যানধারণা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করিঃ মুহাম্মাদ সাঃ ও আব্দুল কাদের জীলানি রহঃ ও অলিদের সম্পর্কে আমাদের কথিত সুন্নীদের ধ্যানধারণাও প্রায় একই অবস্থান

এক নজরে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর শানে প্রচলিত মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর কিছু কথা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাঃ

এক নজরে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর শানে প্রচলিত মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর কিছু কথা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাঃ 1️⃣ মুহাম্মদ সাঃ কে প্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে, পাঠিয়েছেন পরে! #ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি প্রথম মানুষ ও নবী আদম (আঃ)। এবং আদম আঃ থেকেই মানব জাতির সূচনা হয়। অতঃপরঃ উপরোক্ত কথা মিথ্যা ও বানোয়াট। 2️⃣ মুহাম্মদ সাঃ নূরের সৃষ্টি! #ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি আদম আঃ কে মাটি দিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছিল। আর এই হিসেবে প্রত্যেক আদম সন্তান মাটির সৃষ্ট মানুষ। অতঃপরঃ উপরোক্ত কথা মিথ্যা ও বানোয়াট। 3️⃣ মুহাম্মদ সাঃ কে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি হতোনা! #ব্যাখ্যাঃ এইটা একটা বিভ্রান্তিকর কথা যার কোন ভিত্তি নাই৷ কেননা আল্লাহর ইচ্ছার মধ্যে কোন সৃষ্টি শরত হতে পারেনা। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন। অতঃপরঃ উপরোক্ত কথা মিথ্যা ও বানোয়াট। 4️⃣ আদম ও হাওয়া (আঃ) মুহাম্মদ সাঃ এর উসীলায় দোয়া করেছেন! #ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি আল্লাহ পাক আদম ও হাওয়া আঃ কে একটা দোয়া শিক্ষা দিয়েছিল। যে দোয়া পড়ে তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল। দোয়াটি সূরা আরাফে ২৩ আয়াতে উল্লেখ আছে। অতঃপরঃ উপরোক্ত কথা মিথ্যা ও বানোয়াট। 5️⃣ মুহাম্মদ সাঃ মারা যা

প্রশ্নঃ আল্লাহর ধনভাণ্ডার কি? এই ধনভাণ্ডার কি আল্লাহ তার রাসূলকে দিয়েছিল?

Image
প্রশ্নঃ আল্লাহর ধনভাণ্ডার কি? এই ধনভাণ্ডার কি  আল্লাহ তার রাসূলকে দিয়েছিল?  ধনভাণ্ডার, treasure, উত্তরঃ প্রথমেই জেনে নিই ধনভাণ্ডার অর্থ। ধনভাণ্ডার শব্দটি ধন ও ভান্ডার এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি শব্দ। ধনের বাংলা সরল অর্থ সম্পদ। আর ভান্ডারের বাংলা সরল অর্থ কোষাগার। ধনভান্ডারের বাংলা সরল অর্থ অতিপ্রয়োজনীয় মূল্যবান সম্পদের জমাকৃত ভান্ডার বা গচ্ছিত বা গুপ্ত ভান্ডার। ধনভাণ্ডার আরবিতে (كنز) আর ইংরেজিতে (Treasure) এই হলো দুনিয়ার মানুষের জন্য প্রচলিত ধনভান্ডারের অর্থ। যা একদিন শেষ হয়ে যায়। এইবার জেনে নিই আল্লাহর ধনভাণ্ডার কি। কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় ধনভাণ্ডার শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। কুরানে كنز শব্দের পাশাপাশি خَزَآئِنُ শব্দও ব্যবহার হয়েছে। উভয় অর্থ ধনভাণ্ডার বা গচ্ছিত সম্পদ, গুপ্ত সম্পদকে বুঝানো হয়েছে।  আল্লাহর ধনভাণ্ডার বলতে দুনিয়া ও আখিরাতের অপুরন্ত নাছ নিয়ামতকে বুঝানো হয়, যা কেবল আল্লাহর কাছেই সংরক্ষিত। যে নেয়ামত কখনোই শেষ হবার নয়। আল্লাহ বলেন,  وَ لِلّٰہِ خَزَآئِنُ  السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ لٰکِنَّ  الۡمُنٰفِقِیۡنَ  لَا  یَفۡقَہُوۡنَ  আর আসমান ও জমিনের ধনভাণ্ডার তো আল্লাহরই। ক

মাইকের ব্যবহার নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনেঃ প্রশ্নোত্তর পর্ব।

Image
ibadote maik, ibadote maiker proyojoniyota, prshnottor porbo ইবাদতে মাইক, ইবাদতে মাইকের প্রয়োজনীয়তা, প্রশ্নোত্তর পর্ব ibadote maik, ibadote maiker proyojoniyota, prshnottor porbo, ইবাদতে মাইক, ইবাদতে মাইকের প্রয়োজনীয়তা, প্রশ্নোত্তর পর্ব, প্রশ্নোত্তর পর্ব! ১/ প্রশ্নঃ মসজিদের বাহিরে গিয়ে উচুঁ স্থানে আযান দেওয়া কি সুন্নাহ? যদি তাই হয় তবে যারা মসজিদের ভিতরে দাড়িয়ে মাইকের মাধ্যমে আযান দেয় তাদের বিষয়ে কি বলবেন? উত্তরঃ মানুষদের সালাতের জন্য আহবান করাকেই বলা হয় আযান। অতএব যাদের ডাকার জন্য আযান দিবেন তাদের কাছে আযানের ধ্বনি পৌছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। এই কাজটিই আপনার জন্য জরুরী এবং এটাই সুন্নাহ। যদি মাইক না থাকে, বাহিরে উচুঁ স্থানে দাঁড়ানোটা সুন্নাহ। যদি উচুঁ স্থানের ব্যবস্থা না থাকে তাহ‌লে একটি পাথরের উপর হলেও দাঁড়ানোর চেষ্টা করাটা সুন্নাহ। যদি সে ব্যবস্থাও না থাকে শুধু বাহিরে সমতল ভূমিতে দাড়িয়ে হলেও আযান দেওয়াটা সুন্নাহ। সর্বোপরি মানুষের কাছে আযানের ধ্বনি পৌছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করাটাই আপনার জন্য সুন্নাহ। সেটা মাইকের মাধ্যমে হোক কিংবা বাহিরে উচুঁ স্থানে দাড়িয়ে হোক। আ

কবর পূজারীদের কুরআন বিরোধী কথা ও চিন্তাধারা!

কোরান কি বলে মাজার পূজারীরা কি বুঝে: ——————--———————————— . কোরান: মুহাম্মদ (সা:) তোমাদের মত মানুষ। (১৭:৯৪, ৪৬:১১০, ৩২:৬) মাজার পূজারীরা: মুহাম্মদ (সা:) মানুষ নয় মানুষ রূপে এসেছে। . কোরান: আল্লাহ ছাড়া কেহ গায়েব জানেনা। (২৭:৬৫, ৬:৫৯) মাজার পূজারী: শুধু নবীজি (সা:) নয়, তাদের পীর দরবেশরাও গায়েব জানে। . কোরান: মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন নিরক্ষর নবী যিনি লিখতে ও পড়তে জানতেন না। (৭:১৫৭-১৫৮) মাজার পূজারী: নবীজি (সা:) মূর্খ ছিলনা। (নিরক্ষর বল্লে তো অনেক মুসলিম তা পজিটিভলি নিতে পারে তাই তারা মূর্খ বলে বিষয়টি তুলে ধরে। যাতে সাধারণ পাবলিক নেগেটিভলি নেয়। অথচ মূর্খ আর নিরক্ষর শব্দ দুটি আলাদা অর্থ বহন করে) . কোরান: আমার ইবাদত কর আমার কাছে চাও। (১:৫) মাজার পূজারী: না আল্লাহর কাছে চাইতে মাধ্যম লাগবে। . কোরান: সকল প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাধ গ্রহণ করতে হবে। (৩:১৮৫,২৯:৫৭, ২১:৩৭) মাজার পূজারী: শুধু নবীজি (সা) নয়, তাদের পীর দরবেশও মরে না। . কোরান: আদম (আ) প্রথম মানব ও নবী। (২:৩০) মাজার পূজারী: নবীজি (সা:)কে সবার আগে সৃষ্টি করেছে তবে পাঠিয়েছেল সবার পরে। . কোরান: আল্লাহ সূরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে ' ইউছল্