Posts

Showing posts from April, 2022

নবীজি মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যুর পর দেয়া হযরত আবুবকর রাঃ এর ভাষন।

বাং লা ও  আরবি  আবূ বাকর (রাঃ) আল্লাহ্ তা‘আলার হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘ইবাদাতকারী ছিলে তারা জেনে রাখ, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা গেছেন। আর যারা আল্লাহর ‘ইবাদাত করতে  তারা নিশ্চিত জেনে রাখ আল্লাহ্ চিরঞ্জীব, তিনি অমর। অতঃপর আবূ বাকর (রাঃ) এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ ‘‘নিশ্চয়ই আপনি মরণশীল আর তারা সকলেই মরণশীল’’- (আয্ যুমার ৩০)। আরো তিলাওয়াত করলেনঃ মুহাম্মাদ তো একজন রাসূল ব্যতিরেকে আর কিছু নয়। তার পূর্বেও অনেক রাসূল চলে গেছে। অতএব যদি সে মারা যায় অথবা নিহত হয় তাহলে কি তোমরা ইসলাম ত্যাগ কর?? আর যদি কেউ সেরূপ পেছনে ফিরেও যায়, তবে সে কখনও আল্লাহর বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না- (আলে ইমরান ১৪৪)। আল্লাহ্ তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। রাবী বলেন, আবূ বাকর (রাঃ)-এর এ কথাগুলি শুনে সবাই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন। রাবী বলেন, আনসারগণ সাকীফা বনূ সায়িদায়ে সা‘দ ইবনু ‘উবাইদাহ (রাঃ)-এর নিকট সমবেত হলেন এবং বলতে লাগলেন, আমাদের মধ্য হতে একজন আমীর হবেন এবং তোমাদের মধ্য হতে একজন আমীর হবেন। আবূ বাকর (রাঃ), ‘উমার ইবনু খাত্তাব, আব

আল্লাহর নামে জিকির

Image
জিকির শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই হয়। জিকির আল্লাহর ইবাদত। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে জিকির করা শিরক। জিকির, যিকির, Jikir, zikir, ذِکۡرًا কুরআনে আল্লাহ কেবল তার জিকির করতে বলেছেন। কারণ তার নামই সুন্দর ও বরকতময়। اَللّٰہُ  لَاۤ  اِلٰہَ  اِلَّا ہُوَ ؕ لَہُ  الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی ﴿۸﴾ আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুন্দর নামসমূহ তাঁরই। (সূরা ত্বাহা - ২০/৮) ہُوَ اللّٰہُ  الۡخَالِقُ الۡبَارِئُ  الۡمُصَوِّرُ لَہُ الۡاَسۡمَآءُ  الۡحُسۡنٰی ؕ یُسَبِّحُ لَہٗ  مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۲۴﴾ তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা হাশর - ৫৯/২৪) وَ لِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ۪ وَ ذَرُوا الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ فِیۡۤ  اَسۡمَآئِہٖ ؕ سَیُجۡزَوۡنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۸۰﴾ আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা

তাফসীরে কানযুল ঈমানে কুরআনের ভুল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা

Image
কোরানের ভুল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা। . কত শোনেছি, সাঈদীরা কোরানের ভুল তরজমা করে যা পড়লে ঈমান চলে যাবে। কিন্তু কখনো এইরকম কোন প্রমান পায়নি। আজ যখন সুন্নিয়তের প্রতিষ্ঠাতা (দক্ষিন এশিয়ার বিদাতিদের শিরুমণি) আলা হযরতের "কানযুল ঈমান" নামক তাফসিরটি পড়তে গেলাম তখন ধরা পড়ল, আসলে কারা কোরানের ভুল তরজমা ও ব্যাখ্যা করে। সম্ভবত আমাদের সুন্নি ভাইয়েরা এই তাফসিরটি পড়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে মুসলিম সমাজে। সবসময় আবেগপ্রবণ নতুন নতুন কথা শোনা যাচ্ছে। যা অতীতের অনেক আলেম উলামার মুখে শোনা যায়নি। বিশেষ করে নবীজি (সা:) সম্পর্কিত আয়াত গুলোতে তারা নিজেদের আবেগপ্রবণ ভ্রান্ত আক্বিদাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজেদের মতো করে কোরানের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করেন। এই কাজ করতে তারা অতীতের আলেমরা ঐ আয়াত গুলো নিয়ে কি তরজমা ও ব্যাখ্যা করেছিল তা একটুও ভেবে দেখার প্রয়োজন মনে করেনা। উল্টো তাদের সদ্য দেয়া মনগডা তরজমা ও ব্যাখ্যার বিপরীতে যাদের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, তাদের নবী বিদ্ধেষী গোমরাহ বলে ফতোয়া দিচ্ছে। যেমনিভাবে আহলে বাইত প্রেমিক সেজে শিয়ারা যে ভ্রান্ত পথে হেঁটেছে। মনগডা ভুল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পড়ে আবেগের ঠেলায় আম

যার পীর নাই তার হেদায়েত নাই!

Image
#প্রশ্নঃ কুরআন মাজিদের সূরা কাহাফের ১৭ নং আয়াতের শেষ অংশে আল্লাহ বলেন, وَ مَنۡ یُّضۡلِلۡ فَلَنۡ تَجِدَ لَہٗ وَلِیًّا مُّرۡشِدًا আল্লাহ যাকে হিদায়াত দেন, সে হেদায়াতপ্রাপ্ত। আর যাকে ভ্রষ্ট করেন, তুমি তার জন্য পথনির্দেশকারী কোন অভিভাবক পাবে না। অতঃপর এই আয়াত থেকে কিছু লোক বলেঃ "যার পীর নেই তার হেদায়েত নেই " এই কথাটি কতটুকু সঠিক তা জানালে উপকৃত হবো।? #উত্তরঃ আগেই বলে রাখি, হেদায়েতের একমাত্র মালিক আল্লাহ তায়ালা। যারা এই বিশ্বাসে সুদৃঢ় তাদের জন্যই আমার উত্তর ফলপ্রসূ হতে পারে। অতঃপর আপনি যদি এই দলের অন্তর্ভুক্ত হন তবে ইন্সাল্লাহ! আপনি অবশ্যই সহজেই বুঝতে সক্ষম হবেন। এবার উত্তরে আসা যাক। কোরানে পথপ্রদর্শক শব্দটি দুটি আরবি শব্দে ব্যবহার হয়েছে। একটি হলো 'হাদি' (ہَادِ) ২২/৫৪ অপরটি হচ্ছে 'মুর্শিদ' (مُّرۡشِدًا) ১৮/১৭। দুটির অর্থই পথপ্রদর্শক বা পথপ্রদর্শনকারী। আবার পথপ্রাপ্তদের ব্যাপারে দুটি শব্দ ব্যবহার হয়েছে একটি 'মুহতাদুন' (الۡمُہۡتَدُوۡنَ) ২/১৫৭ অপরটি 'রাশেদুন' (الرّٰشِدُوۡنَ) ৪৯/৭ আপনার উল্লেখিত এই আয়াত ছাড়াও কোরানের আরও বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ ত

Sample Letter of Recommendation (LOR)

Image
[Your Narne] Street Address) [City, ST Zip Code] [Month Day, Year] To Whom It May Concern: It is with great pleasure that I am recommending [Name of Person to you I am a [Your Title & [Company Name, and I have worked with managed supervised Name of Person), who held the position of [position namo] from [Date - Datel [Name of Person] would be a great asset to any internship program. [He/She] is [st/overview of strengths and qualities] IName of Person) is a [Quality #1 to highlight about person]. Example of how person displays that quality [Narne of Person] is a [Quality #2 to highlight about Person] [Example of how person displays that quality I believe that [Name of Person] wil be an excellent fit for your internship program [Name of Person has been nothing short of an exemplary student. If you have any further questions, feel free to contact me at [contact info) and I'll be happy to answer any questions you have Sincerely, Signature] [Your Name] [Your Title

প্রশ্নোত্তরঃ ওহাবী সুন্নি পার্থক্য!

প্রশ্নঃ ওহাবী সুন্নি মতপার্থক্য কি? একটু সহজভাবে বুঝাবেন কি? কেননা দুদলই যে সুন্নি দাবিদার! উত্তরঃ আপনি সহজেই মতপার্থক্য বুঝতে চেয়েছেন, তাই সহজেই বুঝার জন্য দুইজন ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ দিচ্ছি। একটু দুইজনের মধ্য দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা বুঝার চেষ্টা করবেন। তাহলেই আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। দুজন লোকই নবী মুহাম্মদ ﷺ কে ভালবাসে। এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল ﷺ কে ভালোবেসে তার একটি মূর্তি বানিয়েছে। অপর ব্যক্তি ইসলামে যেকোন উদ্দেশ্যে মূর্তি তৈরি হারাম বলেই রাসূল ﷺ এর সেই মূর্তির তীব্র বিরোধিতা করতেছে। অতঃপর, এখানে যিনি মূর্তি বানিয়েছে উনি নিজেকে দাবি করে সুন্নি বা নবী প্রেমিক। আর যিনি মূর্তির বিরোধিতা করেছে তাকে সুন্নি দাবিদার লোকটি বলে রাসূলের বিরোধিতাকারী ওহাবী। এই হলো ওহাবী সুন্নি ভাগের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য। বস্তুত উভয় দল নিজেদের সুন্নি দাবি করে। কে সত্যিকারের সুন্নি সে বিচারটা আপনার বিবেকের কাছেই ছেড়ে দিলাম। বিঃদ্রঃ এখানে মূর্তি দিয়ে নবীজি ﷺ এর প্রতি ভালোবাসায় বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘনকে বুঝিয়েছি। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। পরিশেষে আমার সকল ভাল কাজই আল্লাহর জন্য।

রমজান মাসে মুসলমানরা সাধারণত যে ভুল গুলো করে থাকে। ২য় অংশের সম্পূর্ণ পার্ট একসঙ্গে।

রমজান মাসে মুসলমানরা  সাধারণত যে ভুল গুলো করে থাকে। ২য় অংশের সম্পূর্ণ পার্ট একসঙ্গে। আলোচকঃ ডাঃ জাকির নায়েক Video link  Click Tag: রমজান মাসে মুসলমানরা  সাধারণত যে ভুল গুলো করে থাকে। ২য় অংশের সম্পূর্ণ পার্ট একসঙ্গে। আলোচকঃ ডাঃ জাকির নায়েক. রমজান মাসে মুসলমানরা  সাধারণত যে ভুল গুলো করে থাকে। ২য় অংশের সম্পূর্ণ পার্ট একসঙ্গে। আলোচকঃ ডাঃ জাকির নায়েক

মুকাব্বির, মাইক, ইমাম ও রোবট!

Image
প্রশ্নঃ কিছু মানুষ বলে, মুকাব্বিরের পরিবর্তে যদি মাইক ব্যবহার করে সালাত আদায় করা যায়, তাহলে ইমামের পরিবর্তে রোবট ব্যবহার করলে ক্ষতি কি? তাদের এই প্রশ্নের জবাব দিন। মুকাব্বির, মাইক, ইমাম ও রোবট উত্তরঃ চিন্তা শক্তি যেমন প্রশ্নও তেমন হওয়া স্বাভাবিক। ইসলাম সম্পর্কে মুসলিমদের জ্ঞানের এই অপরিপক্ষতার কারণেই মুসলিমদের মাঝে এতো দল ও মতভেদ। প্রতিদিন যেন মুসলিম বৃদ্ধির চেয়ে দল ও মতভেদ বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশি। সুন্নতের (নফল বা মুস্তাহাব পর্যায়ের সুন্নাহের) জন্য মসজিদ পর্যন্ত আলাদা করছে। এই হলো বর্তমান সময়ের মুসলিমদের অবস্থা। আসুন, এবার প্রশ্নের উত্তরে যায়। আপনি হয়তো জানেন না, সালাতের জন্য মুকাব্বির শর্ত নয়। বরং জামাতে সালাত আদায়ের জন্য উন্নতম একটি শর্ত ইমাম। ইমাম বিহীন জামাত কল্পনাও করা যায়না। অন্যদিকে প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে মুকাব্বির দেওয়া হয়। কিন্তু প্রয়োজন না হলে মুকাব্বির দেওয়া হয়না। মাইকের কথা না হয় বাদ দিলাম, যদি মাইক ছাড়াও মুকাব্বির বিহীন জামাত হয়, তবুও সালাত হয়ে যাবে। তাতে জামাতের কোন ক্ষতি হবেনা। অতঃপর মাইক ব্যবহারের কারণে যদি মুকাব্বির দেওয়া না হয় তাতে সালাতের ক্ষতি হবেনা। কিন্তু ইমামে