Posts

Showing posts from 2022

হাদিসের নামে রাসূল সাঃ এর শানে প্রচলিত কথা গুলোকে কুরআন দিয়ে যাচাই করুন।

Image
💚❤️ হাদিসের নামে রাসূল সাঃ শানে প্রচলিত কথা গুলোকে কুরআন দিয়ে যাচাই করুন। ❤️💚 আর যদি কুরআনের বিরুদ্ধে যায়, সাথে সাথেই তা পরিত্যাগ করুন। কেননা কুরআন হচ্ছে সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের উত্তম মানদন্ড! شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। (Al-Quran: 2/185) হাদিসের ব্যাপারটা হলো, কেউ সহীহ্ বলছে আবার কেউ জয়িফ বলছে। অথবা কেউবা নিজের বক্তব্যকে হাদিসের নামে চালিয়ে দিচ্ছে। ধরুন, এইরকম হাদিস প্রতিদিন সামনে আসতেছে। তাহলে আপনার জন্য এখন কি করা সহজ? 👉 আপনি কি অন্ধভাবে মেনে নিবেন? 👉 আপনি কি প্রতিদিন রেফারেন্স খুঁজবেন? 👉 আপনি কি হাদিস সহীহ্ কিনা যাচাই করবেন? 👉 আপনি কি কোন কোন মুহাদ্দিস সহীহ বলেছেন সেটা জানার চেষ্টা করবেন? 👉 আপনি কি সব মুহাদ্দিসের বক্তব্য জানতে পারবেন? 👉 প্রতিদিন কি আপনি এইরকম হাদিস চেক করবেন? 👉 এইসব কি আপনার দ্বারা সহজ ও সম্ভব? না এইসব আপনার আমার কারও দ্বারা সম্ভব না। আপনা

কওমী ও চরমোনাই ভাইদের সাথে আহলে হাদিসের দূরত্ব বেশী নয়!

Image
কওমী ও চরমোনাই ভাইদের সাথে আহলে হাদিসের দূরত্ব বেশী নয়। তবুও চরমোনাই ভাইয়েরা তাদের ওয়াজ মাহফিলে ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। তাদের প্রথম অভিযোগ, ডাঃ জাকির নায়েক ইহুদি খ্রিস্টানদের দালাল। কারণ তিনি কোর্ট ও টাই পড়েন। আসুন তাদের অভিযোগ কতটুকু গ্রহণযোগ্য? প্রথমে বলে রাখি, কোর্ট ও টাই ইহুদি খ্রিস্টানদের কোন ধর্মীয় প্রতিক জাতীয় কিছুই নয় বরং এগুলো তাদের দেশের (ইউরোপ আমেরিকা) সাংস্কৃতিক পোশাক। যেমন, ধুতি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি এইগুলা আমাদের উপমহাদেশের সাংস্কৃতিক পোশাক। এগুলো হিন্দু, বৌদ্ধ কিংবা মুসলমানদের ধর্মীয় পোশাক নয়। তাছাড়া, ইসলাম ধর্মে নির্দিষ্ট কোন ধর্মীয় পোশাক নেই যা শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিধান করা হয়। বরং ইসলাম ধর্মে পোশাকের জায়েজ বা সুন্নত হওয়ার ছয়টি শর্ত আছে। শর্তগুলো হচ্ছে, ১/ পুরুষের জন্য নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং মহিলাদের জন্য পায়ের তালু, হাতের কব্জিতে ও মুখমন্ডল ব্যতীত পুরো শরীর ঢাকে এমন পোশাক। ২/ পোশাক এমন আঁটু সাটূ বা টাইট পিট হতে পারবেনা, যাতে শরীরের গঠন বুঝা যায়। ৩/ পোশাক এমন স্বচ্ছ হতে পারবেনা, যা দ্বারা শরীরের ভিতরের অংশ দেখা যায়। ৪/ পুরুষের পোশাক অবশ্যই

মরু ভাস্করঃ মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী।

Image
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী বিষয়ক গ্রন্থ মরুরভাস্কর । লিখেছেন মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী। ডাওনলোড করতে ক্লিক করুন নিচের "পিডিএফ ডাওনলোড" ইংরেজি লেখায় 👇 pdf download বিঃদ্রঃ ডাওনলোডে কোন সমস্যা হলে জানাবেন। আপনারা আমার গুগল ড্রাইভ থেকে ডাউনলোড করতে যাচ্ছেন। MorurVaskor pdf download মরুরভাস্কর পিডিএফ ডাওনলোড  মরুভাস্কর মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী পিডিএফ ডাওনলোড

আরটিকেলঃ সাঈদী কি মুনাফেক?

Image
সাঈদী কি মুনাফেক? #প্রশ্নঃ সাঈদী কি মুনাফেক? কেননা একটি ভিডিওতে তাকে ক্বিয়াম করতে দেখা গেছে আবার আরেকটি ভিড়িওতে এইসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা গেছে! # উত্তরঃ আল্লাহর রাসূল সাঃ কে দাড়িয়ে, বসে কিংবা শুয়া অবস্থায় সালাম দেওয়া দোষের কিছু না। অর্থাৎ যেকোনো অবস্থায় আল্লাহর রাসূল সাঃ কে সালাম দেওয়া জায়েজ। যদি কেউ দাঁড়িয়ে সালাম দেওয়াকে কিংবা বসে সালাম দেওয়াকে সুন্নাহ বা নিয়ম বানিয়ে ফেলে সেটাই দোষের বিদাত হিসেবে গণ্য। আমাদের বেরলভি ভাইয়েরা দাঁড়িয়ে সালাম দেওয়াকে সুন্নাহ বানিয়ে ফেলেছে শুধুমাত্র তা নয়, বরং তারা এই বাড়াবাড়িতে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলছে, যারা দাঁড়িয়ে সালাম দেয়না তারা ওহাবি, নবী বিরোধী ইত্যাদি। চিন্তা করুন নিজেদের বানানো একটি নিয়মের জন্য কতো বাড়াবাড়িতে গড়িয়েছে। সুতরাং তারা যে নিতান্তই বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘনে লিপ্ত তাতে কোন সন্দেহ নেই। সাঈদী (হাঃ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ নন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি এইসবের সাথে পরিচিত নন। তিনি চট্টগ্রামে আসার আগেই জানতে পারেন, চট্টগ্রামের মানুষ ক্বিয়ামে বিশ্বাসী। অর্থাৎ কেউ ক্বিয়াম না করলেই সে ওহাবি! তিনি যখন চট্টগ্রামে তাফসীর করতে আসেন প্রথম দিকেই অর্থাৎ

তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূল সাঃ এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (আলকোরানঃ সূরা আহযাব ২১)

Image
তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (আলকোরান, আহযাবঃ ২১) তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (আলকোরান, আহযাবঃ ২১) তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (আলকোরান, আহযাবঃ ২১) তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (আলকোরান, আহযাবঃ ২১) তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (আলকোরান, আহযাবঃ ২১) তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (আলকোরান, আহযাবঃ ২১) tag: adorsh, Mohammad, uttom, surah ahazab ayat 21, 

আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবেনা। আলকোরানঃ সূরা আয -যুমার -৭

Image
আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবেনা। (আলকোরানঃ সূরা আয -যুমার -৭) আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবেনা। আলকোরানঃ সূরা আয -যুমার -৭

আর সেদিন পরিমাপ হবে যথাযথ, সুতরাং যাদের পাল্লা ভারি হবে, তারাই হবে সফলকাম (আলকোরানঃ সূরা আল আরাফ - ৮)

Image
আর সেদিন পরিমাপ হবে যথাযথ, সুতরাং যাদের পাল্লা ভারি হবে, তারাই হবে সফলকাম (আলকোরানঃ সূরা আল আরাফ - ৮) আলকোরানঃ সূরা আল আরাফ -৮ আর সেদিন পরিমাপ হবে যথাযথ...

যদি আসমান ও যমিনে আল্লাহ ছাড়া বহু ইলাহ থাকত, তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত....

Image
যদি আসমান ও যমিনে আল্লাহ ছাড়া বহু ইলাহ থাকত, তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত.... আলকোরানঃ সূরা আল আম্বিয়াঃ ২২ Al-Quran Surah al Ambiya: 22

হাদিসের দোহাই দিয়ে রাসূল সাঃ শানে প্রচলিত আজগুবি, বিভ্রান্তিকর ও শিরকী কথা বলার আগে কুরআনের আয়াত দিয়ে তা যাচাই করুন

Image
❤️❤️❤️ Bismillahir Rahmanir Raheem ❤️❤️❤️  ✋ হাদিসের দোহাই দিয়ে রাসূল সাঃ শানে প্রচলিত আজগুবি, বিভ্রান্তিকর ও শিরকী কথা বলার আগে কুরআনের আয়াত দিয়ে তা যাচাই করুন ✋  উযাইর (রহঃ) ছিলেন ইহুদিদের মধ্যে একজন নেককার আল্লাহর বান্দাহ! তার শান বাড়াতে গিয়ে শেষপর্যন্ত ইহুদিরা তাকে আল্লাহর পুত্র বলে ঘোষণা করেছিল। (নাউজুবিল্লাহ)।  ঈসা (আঃ) ছিলেন, খ্রিস্টানদের নবী। এবং মরিয়ম (আঃ) ছিলেন ঈসা (আঃ) এর মা। বলা যায় ঈসা (আঃ) এর জন্মটা ছিল অলৌকিক নিরদশন। খ্রিষ্টান সম্প্রদায় "আদম ও হাওয়া আঃ আল্লাহ তাদের পিতা মাতার ঔরস ছাড়াই সৃষ্টি করেছিল" এই কথা বিশ্বাস করলেও ঈসা আঃ যে মানুষ ও আল্লাহর বান্দাহ, এই কথাটি তারা তা বিশ্বাস করতে চাইনা। খ্রিস্টানরা মনে করে যে, মরিয়ম আঃ ও ঈসা আঃ যদি মানুষ হন তাতে তাদের (মরিয়ম ও ঈসা) সম্মান ও মরযাদা কমে যাবে। এই ধ্যানধারণা থেকেই তারা তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসে অনড় থাকে। এই হলো আহলে কিতাবিদের ধ্যানধারণা।  এইবার আসি #উম্মতি_মুহাম্মদীর ধ্যানধারণা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করিঃ মুহাম্মাদ সাঃ ও আব্দুল কাদের জীলানি রহঃ ও অলিদের সম্পর্কে আমাদের কথিত সুন্নীদের ধ্যানধারণাও প্রায় একই অবস্থান

এক নজরে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর শানে প্রচলিত মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর কিছু কথা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাঃ

এক নজরে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর শানে প্রচলিত মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর কিছু কথা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাঃ 1️⃣ মুহাম্মদ সাঃ কে প্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে, পাঠিয়েছেন পরে! #ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি প্রথম মানুষ ও নবী আদম (আঃ)। এবং আদম আঃ থেকেই মানব জাতির সূচনা হয়। অতঃপরঃ উপরোক্ত কথা মিথ্যা ও বানোয়াট। 2️⃣ মুহাম্মদ সাঃ নূরের সৃষ্টি! #ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি আদম আঃ কে মাটি দিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছিল। আর এই হিসেবে প্রত্যেক আদম সন্তান মাটির সৃষ্ট মানুষ। অতঃপরঃ উপরোক্ত কথা মিথ্যা ও বানোয়াট। 3️⃣ মুহাম্মদ সাঃ কে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি হতোনা! #ব্যাখ্যাঃ এইটা একটা বিভ্রান্তিকর কথা যার কোন ভিত্তি নাই৷ কেননা আল্লাহর ইচ্ছার মধ্যে কোন সৃষ্টি শরত হতে পারেনা। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন। অতঃপরঃ উপরোক্ত কথা মিথ্যা ও বানোয়াট। 4️⃣ আদম ও হাওয়া (আঃ) মুহাম্মদ সাঃ এর উসীলায় দোয়া করেছেন! #ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি আল্লাহ পাক আদম ও হাওয়া আঃ কে একটা দোয়া শিক্ষা দিয়েছিল। যে দোয়া পড়ে তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল। দোয়াটি সূরা আরাফে ২৩ আয়াতে উল্লেখ আছে। অতঃপরঃ উপরোক্ত কথা মিথ্যা ও বানোয়াট। 5️⃣ মুহাম্মদ সাঃ মারা যা

প্রশ্নঃ আল্লাহর ধনভাণ্ডার কি? এই ধনভাণ্ডার কি আল্লাহ তার রাসূলকে দিয়েছিল?

Image
প্রশ্নঃ আল্লাহর ধনভাণ্ডার কি? এই ধনভাণ্ডার কি  আল্লাহ তার রাসূলকে দিয়েছিল?  ধনভাণ্ডার, treasure, উত্তরঃ প্রথমেই জেনে নিই ধনভাণ্ডার অর্থ। ধনভাণ্ডার শব্দটি ধন ও ভান্ডার এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি শব্দ। ধনের বাংলা সরল অর্থ সম্পদ। আর ভান্ডারের বাংলা সরল অর্থ কোষাগার। ধনভান্ডারের বাংলা সরল অর্থ অতিপ্রয়োজনীয় মূল্যবান সম্পদের জমাকৃত ভান্ডার বা গচ্ছিত বা গুপ্ত ভান্ডার। ধনভাণ্ডার আরবিতে (كنز) আর ইংরেজিতে (Treasure) এই হলো দুনিয়ার মানুষের জন্য প্রচলিত ধনভান্ডারের অর্থ। যা একদিন শেষ হয়ে যায়। এইবার জেনে নিই আল্লাহর ধনভাণ্ডার কি। কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় ধনভাণ্ডার শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। কুরানে كنز শব্দের পাশাপাশি خَزَآئِنُ শব্দও ব্যবহার হয়েছে। উভয় অর্থ ধনভাণ্ডার বা গচ্ছিত সম্পদ, গুপ্ত সম্পদকে বুঝানো হয়েছে।  আল্লাহর ধনভাণ্ডার বলতে দুনিয়া ও আখিরাতের অপুরন্ত নাছ নিয়ামতকে বুঝানো হয়, যা কেবল আল্লাহর কাছেই সংরক্ষিত। যে নেয়ামত কখনোই শেষ হবার নয়। আল্লাহ বলেন,  وَ لِلّٰہِ خَزَآئِنُ  السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ لٰکِنَّ  الۡمُنٰفِقِیۡنَ  لَا  یَفۡقَہُوۡنَ  আর আসমান ও জমিনের ধনভাণ্ডার তো আল্লাহরই। ক

মাইকের ব্যবহার নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনেঃ প্রশ্নোত্তর পর্ব।

Image
ibadote maik, ibadote maiker proyojoniyota, prshnottor porbo ইবাদতে মাইক, ইবাদতে মাইকের প্রয়োজনীয়তা, প্রশ্নোত্তর পর্ব ibadote maik, ibadote maiker proyojoniyota, prshnottor porbo, ইবাদতে মাইক, ইবাদতে মাইকের প্রয়োজনীয়তা, প্রশ্নোত্তর পর্ব, প্রশ্নোত্তর পর্ব! ১/ প্রশ্নঃ মসজিদের বাহিরে গিয়ে উচুঁ স্থানে আযান দেওয়া কি সুন্নাহ? যদি তাই হয় তবে যারা মসজিদের ভিতরে দাড়িয়ে মাইকের মাধ্যমে আযান দেয় তাদের বিষয়ে কি বলবেন? উত্তরঃ মানুষদের সালাতের জন্য আহবান করাকেই বলা হয় আযান। অতএব যাদের ডাকার জন্য আযান দিবেন তাদের কাছে আযানের ধ্বনি পৌছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। এই কাজটিই আপনার জন্য জরুরী এবং এটাই সুন্নাহ। যদি মাইক না থাকে, বাহিরে উচুঁ স্থানে দাঁড়ানোটা সুন্নাহ। যদি উচুঁ স্থানের ব্যবস্থা না থাকে তাহ‌লে একটি পাথরের উপর হলেও দাঁড়ানোর চেষ্টা করাটা সুন্নাহ। যদি সে ব্যবস্থাও না থাকে শুধু বাহিরে সমতল ভূমিতে দাড়িয়ে হলেও আযান দেওয়াটা সুন্নাহ। সর্বোপরি মানুষের কাছে আযানের ধ্বনি পৌছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করাটাই আপনার জন্য সুন্নাহ। সেটা মাইকের মাধ্যমে হোক কিংবা বাহিরে উচুঁ স্থানে দাড়িয়ে হোক। আ

কবর পূজারীদের কুরআন বিরোধী কথা ও চিন্তাধারা!

কোরান কি বলে মাজার পূজারীরা কি বুঝে: ——————--———————————— . কোরান: মুহাম্মদ (সা:) তোমাদের মত মানুষ। (১৭:৯৪, ৪৬:১১০, ৩২:৬) মাজার পূজারীরা: মুহাম্মদ (সা:) মানুষ নয় মানুষ রূপে এসেছে। . কোরান: আল্লাহ ছাড়া কেহ গায়েব জানেনা। (২৭:৬৫, ৬:৫৯) মাজার পূজারী: শুধু নবীজি (সা:) নয়, তাদের পীর দরবেশরাও গায়েব জানে। . কোরান: মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন নিরক্ষর নবী যিনি লিখতে ও পড়তে জানতেন না। (৭:১৫৭-১৫৮) মাজার পূজারী: নবীজি (সা:) মূর্খ ছিলনা। (নিরক্ষর বল্লে তো অনেক মুসলিম তা পজিটিভলি নিতে পারে তাই তারা মূর্খ বলে বিষয়টি তুলে ধরে। যাতে সাধারণ পাবলিক নেগেটিভলি নেয়। অথচ মূর্খ আর নিরক্ষর শব্দ দুটি আলাদা অর্থ বহন করে) . কোরান: আমার ইবাদত কর আমার কাছে চাও। (১:৫) মাজার পূজারী: না আল্লাহর কাছে চাইতে মাধ্যম লাগবে। . কোরান: সকল প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাধ গ্রহণ করতে হবে। (৩:১৮৫,২৯:৫৭, ২১:৩৭) মাজার পূজারী: শুধু নবীজি (সা) নয়, তাদের পীর দরবেশও মরে না। . কোরান: আদম (আ) প্রথম মানব ও নবী। (২:৩০) মাজার পূজারী: নবীজি (সা:)কে সবার আগে সৃষ্টি করেছে তবে পাঠিয়েছেল সবার পরে। . কোরান: আল্লাহ সূরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে ' ইউছল্

নবীজি মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যুর পর দেয়া হযরত আবুবকর রাঃ এর ভাষন।

বাং লা ও  আরবি  আবূ বাকর (রাঃ) আল্লাহ্ তা‘আলার হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘ইবাদাতকারী ছিলে তারা জেনে রাখ, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা গেছেন। আর যারা আল্লাহর ‘ইবাদাত করতে  তারা নিশ্চিত জেনে রাখ আল্লাহ্ চিরঞ্জীব, তিনি অমর। অতঃপর আবূ বাকর (রাঃ) এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ ‘‘নিশ্চয়ই আপনি মরণশীল আর তারা সকলেই মরণশীল’’- (আয্ যুমার ৩০)। আরো তিলাওয়াত করলেনঃ মুহাম্মাদ তো একজন রাসূল ব্যতিরেকে আর কিছু নয়। তার পূর্বেও অনেক রাসূল চলে গেছে। অতএব যদি সে মারা যায় অথবা নিহত হয় তাহলে কি তোমরা ইসলাম ত্যাগ কর?? আর যদি কেউ সেরূপ পেছনে ফিরেও যায়, তবে সে কখনও আল্লাহর বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না- (আলে ইমরান ১৪৪)। আল্লাহ্ তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। রাবী বলেন, আবূ বাকর (রাঃ)-এর এ কথাগুলি শুনে সবাই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন। রাবী বলেন, আনসারগণ সাকীফা বনূ সায়িদায়ে সা‘দ ইবনু ‘উবাইদাহ (রাঃ)-এর নিকট সমবেত হলেন এবং বলতে লাগলেন, আমাদের মধ্য হতে একজন আমীর হবেন এবং তোমাদের মধ্য হতে একজন আমীর হবেন। আবূ বাকর (রাঃ), ‘উমার ইবনু খাত্তাব, আব

আল্লাহর নামে জিকির

Image
জিকির শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই হয়। জিকির আল্লাহর ইবাদত। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে জিকির করা শিরক। জিকির, যিকির, Jikir, zikir, ذِکۡرًا কুরআনে আল্লাহ কেবল তার জিকির করতে বলেছেন। কারণ তার নামই সুন্দর ও বরকতময়। اَللّٰہُ  لَاۤ  اِلٰہَ  اِلَّا ہُوَ ؕ لَہُ  الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی ﴿۸﴾ আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুন্দর নামসমূহ তাঁরই। (সূরা ত্বাহা - ২০/৮) ہُوَ اللّٰہُ  الۡخَالِقُ الۡبَارِئُ  الۡمُصَوِّرُ لَہُ الۡاَسۡمَآءُ  الۡحُسۡنٰی ؕ یُسَبِّحُ لَہٗ  مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۲۴﴾ তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা হাশর - ৫৯/২৪) وَ لِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ۪ وَ ذَرُوا الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ فِیۡۤ  اَسۡمَآئِہٖ ؕ سَیُجۡزَوۡنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۸۰﴾ আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা

তাফসীরে কানযুল ঈমানে কুরআনের ভুল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা

Image
কোরানের ভুল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা। . কত শোনেছি, সাঈদীরা কোরানের ভুল তরজমা করে যা পড়লে ঈমান চলে যাবে। কিন্তু কখনো এইরকম কোন প্রমান পায়নি। আজ যখন সুন্নিয়তের প্রতিষ্ঠাতা (দক্ষিন এশিয়ার বিদাতিদের শিরুমণি) আলা হযরতের "কানযুল ঈমান" নামক তাফসিরটি পড়তে গেলাম তখন ধরা পড়ল, আসলে কারা কোরানের ভুল তরজমা ও ব্যাখ্যা করে। সম্ভবত আমাদের সুন্নি ভাইয়েরা এই তাফসিরটি পড়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে মুসলিম সমাজে। সবসময় আবেগপ্রবণ নতুন নতুন কথা শোনা যাচ্ছে। যা অতীতের অনেক আলেম উলামার মুখে শোনা যায়নি। বিশেষ করে নবীজি (সা:) সম্পর্কিত আয়াত গুলোতে তারা নিজেদের আবেগপ্রবণ ভ্রান্ত আক্বিদাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজেদের মতো করে কোরানের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করেন। এই কাজ করতে তারা অতীতের আলেমরা ঐ আয়াত গুলো নিয়ে কি তরজমা ও ব্যাখ্যা করেছিল তা একটুও ভেবে দেখার প্রয়োজন মনে করেনা। উল্টো তাদের সদ্য দেয়া মনগডা তরজমা ও ব্যাখ্যার বিপরীতে যাদের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, তাদের নবী বিদ্ধেষী গোমরাহ বলে ফতোয়া দিচ্ছে। যেমনিভাবে আহলে বাইত প্রেমিক সেজে শিয়ারা যে ভ্রান্ত পথে হেঁটেছে। মনগডা ভুল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পড়ে আবেগের ঠেলায় আম

যার পীর নাই তার হেদায়েত নাই!

Image
#প্রশ্নঃ কুরআন মাজিদের সূরা কাহাফের ১৭ নং আয়াতের শেষ অংশে আল্লাহ বলেন, وَ مَنۡ یُّضۡلِلۡ فَلَنۡ تَجِدَ لَہٗ وَلِیًّا مُّرۡشِدًا আল্লাহ যাকে হিদায়াত দেন, সে হেদায়াতপ্রাপ্ত। আর যাকে ভ্রষ্ট করেন, তুমি তার জন্য পথনির্দেশকারী কোন অভিভাবক পাবে না। অতঃপর এই আয়াত থেকে কিছু লোক বলেঃ "যার পীর নেই তার হেদায়েত নেই " এই কথাটি কতটুকু সঠিক তা জানালে উপকৃত হবো।? #উত্তরঃ আগেই বলে রাখি, হেদায়েতের একমাত্র মালিক আল্লাহ তায়ালা। যারা এই বিশ্বাসে সুদৃঢ় তাদের জন্যই আমার উত্তর ফলপ্রসূ হতে পারে। অতঃপর আপনি যদি এই দলের অন্তর্ভুক্ত হন তবে ইন্সাল্লাহ! আপনি অবশ্যই সহজেই বুঝতে সক্ষম হবেন। এবার উত্তরে আসা যাক। কোরানে পথপ্রদর্শক শব্দটি দুটি আরবি শব্দে ব্যবহার হয়েছে। একটি হলো 'হাদি' (ہَادِ) ২২/৫৪ অপরটি হচ্ছে 'মুর্শিদ' (مُّرۡشِدًا) ১৮/১৭। দুটির অর্থই পথপ্রদর্শক বা পথপ্রদর্শনকারী। আবার পথপ্রাপ্তদের ব্যাপারে দুটি শব্দ ব্যবহার হয়েছে একটি 'মুহতাদুন' (الۡمُہۡتَدُوۡنَ) ২/১৫৭ অপরটি 'রাশেদুন' (الرّٰشِدُوۡنَ) ৪৯/৭ আপনার উল্লেখিত এই আয়াত ছাড়াও কোরানের আরও বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ ত