ভ্রান্ত ও বিদাতি দল থেকে বাঁচার উপায়।
কোনটি মানবেন যখন সবাই নিজ নিজ মতের ব্যাপারে কোরান হাদিস থেকে দলিল দিচ্ছে!
প্রশ্নঃ আমরা সাধারণ মুসলিমরা কি করব যখন আলেম সমাজ একই বিষয়ে বিপরীত দলিল দেন কোরান বা হাদিস থেকে? যেমনঃ ঈদে মিলাদুন্নবীর ব্যাপারে একদল বলে এটা সাহাবী, তাবেঈ ও তাবেঈগণ উদযাপন করেননি আবার আরেক দল বলে ঈদে মিলাদুন্নবীর কথা কোরানে আছে? দয়াকরে আমাকে কিছু পরামর্শ দিন।
উত্তরঃ ধন্যবাদ আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জন্য। আপনি এই কথা সত্য বলেছেন যে, আলেম সমাজের মধ্যে মতের ভিন্নতা আছে এবং প্রত্যেক আলেম নিজ নিজ মতের ব্যাপারে কোরান হাদিস থেকে দলিল দেন। তাহলে আপনারা কি করবেন!
এইক্ষেত্রে আপনাদের উচিত হচ্ছে, আল্লাহ আপনাকে যে বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন তা দিয়ে সাধ্যমত যাচাইয়ের চেষ্টা করা তাদের মধ্যে কে সত্য বলছে, আর কে মিথ্যা বলছে।
ধরুন, আপনার মনে হচ্ছে, উভয় দলই কোরান হাদিস থেকে বলছে, কিন্তু কার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সঠিক তা বুঝে নিতে পাচ্ছেন না। তাহলে আপনি যেটা করবেন সেটা হলোঃ সাহাবীগণ অথবা তাবেঈগণ অথবা তাবে-তাবেঈগণ তা কিভাবে বুঝেছেন, মেনেছেন, বা আমল করেছেন সেটা দেখা। যদি মতভেদ পূর্ণ বিষয়ে সালফে সালেহীনদের অনুসরণ করেন ইন্সাল্লাহ বিভ্রান্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
ধরুন, মিলাদের ব্যাপারে হুজুর কোরান থেকে দলিল দিচ্ছে। অথচ তা সাহাবী, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈদের সময়ে অস্তিত্বও ছিলনা। তাহলে ধরে নিন আসলে এই নব উদ্ভাবিত ইবাদতকে জায়েজ প্রমাণের জন্য তারা কোরানের অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়েছে। তারা কি এই কোরানকে সাহাবীদের চেয়ে বেশি বুঝেছেন? নাকি সাহাবীগণ কোরান বুঝতে অক্ষম ছিলেন যার কারণে তারা মিলাদ উদযাপন করতে পারিনি (নাউযুবিল্লাহ)।
অতঃপর ভাই অথবা বোন আপনাদের এইভাবেই চিন্তা করতে হবে। তবেই বিভ্রান্ত ও বিদাতি দল থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
আল্লাহ বুঝার তৌফিক দিক - আমিন।
প্রশ্নঃ আমরা সাধারণ মুসলিমরা কি করব যখন আলেম সমাজ একই বিষয়ে বিপরীত দলিল দেন কোরান বা হাদিস থেকে? যেমনঃ ঈদে মিলাদুন্নবীর ব্যাপারে একদল বলে এটা সাহাবী, তাবেঈ ও তাবেঈগণ উদযাপন করেননি আবার আরেক দল বলে ঈদে মিলাদুন্নবীর কথা কোরানে আছে? দয়াকরে আমাকে কিছু পরামর্শ দিন।
উত্তরঃ ধন্যবাদ আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জন্য। আপনি এই কথা সত্য বলেছেন যে, আলেম সমাজের মধ্যে মতের ভিন্নতা আছে এবং প্রত্যেক আলেম নিজ নিজ মতের ব্যাপারে কোরান হাদিস থেকে দলিল দেন। তাহলে আপনারা কি করবেন!
এইক্ষেত্রে আপনাদের উচিত হচ্ছে, আল্লাহ আপনাকে যে বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন তা দিয়ে সাধ্যমত যাচাইয়ের চেষ্টা করা তাদের মধ্যে কে সত্য বলছে, আর কে মিথ্যা বলছে।
ধরুন, আপনার মনে হচ্ছে, উভয় দলই কোরান হাদিস থেকে বলছে, কিন্তু কার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সঠিক তা বুঝে নিতে পাচ্ছেন না। তাহলে আপনি যেটা করবেন সেটা হলোঃ সাহাবীগণ অথবা তাবেঈগণ অথবা তাবে-তাবেঈগণ তা কিভাবে বুঝেছেন, মেনেছেন, বা আমল করেছেন সেটা দেখা। যদি মতভেদ পূর্ণ বিষয়ে সালফে সালেহীনদের অনুসরণ করেন ইন্সাল্লাহ বিভ্রান্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
ধরুন, মিলাদের ব্যাপারে হুজুর কোরান থেকে দলিল দিচ্ছে। অথচ তা সাহাবী, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈদের সময়ে অস্তিত্বও ছিলনা। তাহলে ধরে নিন আসলে এই নব উদ্ভাবিত ইবাদতকে জায়েজ প্রমাণের জন্য তারা কোরানের অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়েছে। তারা কি এই কোরানকে সাহাবীদের চেয়ে বেশি বুঝেছেন? নাকি সাহাবীগণ কোরান বুঝতে অক্ষম ছিলেন যার কারণে তারা মিলাদ উদযাপন করতে পারিনি (নাউযুবিল্লাহ)।
অতঃপর ভাই অথবা বোন আপনাদের এইভাবেই চিন্তা করতে হবে। তবেই বিভ্রান্ত ও বিদাতি দল থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
আল্লাহ বুঝার তৌফিক দিক - আমিন।
Abubakar siddiq
০৮/১০/২০২১
Tag: ভ্রান্ত মতবাদ, বিদাতি দল, সঠিক পথ, প্রশ্নোত্তর, সুন্নাহ বুঝার উপায়।
Vranto motobad, Bidati dol, sothik poth, proshnottor, sunnah bujhar upay.
Comments
Post a Comment