তাফসীরে কানযুল ঈমানে কুরআনের ভুল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা

কোরানের ভুল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা।
.
কত শোনেছি, সাঈদীরা কোরানের ভুল তরজমা করে যা পড়লে ঈমান চলে যাবে। কিন্তু কখনো এইরকম কোন প্রমান পায়নি। আজ যখন সুন্নিয়তের প্রতিষ্ঠাতা (দক্ষিন এশিয়ার বিদাতিদের শিরুমণি) আলা হযরতের "কানযুল ঈমান" নামক তাফসিরটি পড়তে গেলাম তখন ধরা পড়ল, আসলে কারা কোরানের ভুল তরজমা ও ব্যাখ্যা করে।
সম্ভবত আমাদের সুন্নি ভাইয়েরা এই তাফসিরটি পড়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে মুসলিম সমাজে।
সবসময় আবেগপ্রবণ নতুন নতুন কথা শোনা যাচ্ছে। যা অতীতের অনেক আলেম উলামার মুখে শোনা যায়নি।
বিশেষ করে নবীজি (সা:) সম্পর্কিত আয়াত গুলোতে তারা নিজেদের আবেগপ্রবণ ভ্রান্ত আক্বিদাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজেদের মতো করে কোরানের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করেন। এই কাজ করতে তারা অতীতের আলেমরা ঐ আয়াত গুলো নিয়ে কি তরজমা ও ব্যাখ্যা করেছিল তা একটুও ভেবে দেখার প্রয়োজন মনে করেনা। উল্টো তাদের সদ্য দেয়া মনগডা তরজমা ও ব্যাখ্যার বিপরীতে যাদের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, তাদের নবী বিদ্ধেষী গোমরাহ বলে ফতোয়া দিচ্ছে। যেমনিভাবে আহলে বাইত প্রেমিক সেজে শিয়ারা যে ভ্রান্ত পথে হেঁটেছে। মনগডা ভুল অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পড়ে আবেগের ঠেলায় আমাদের কিছু সুন্নি ভাইয়েরাও একই পথে এগুচ্ছে ।
আশা করি সাবধান হবেন।
কোরান বুঝে পডুন, সাথে একটু সচেতন হও।
কোন বিষয়ে মনে খটকা লাগলে ঐতিহাসিক বিখ্যাত তাফসীর গুলো দেখুন। বিজ্ঞানের এই যুগে কাজটি খুবই সহজ।
মনে রাখবেন কোরানে আবেগের কোন স্থান নেই।
.
বি:দ্র- 'কানযুল ঈমান' তাফসিরের ভুল তরজমা ও ব্যাখ্যার কিছু উদাহারণ তুলে ধরা হলো।

১/ প্রথম স্ক্রীন সর্ট ছবিতে চিহ্নিত শব্দটি 'بشر ' যার বাংলা অর্থ মানুষ। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে এর তরজমা করা হয়নি।
২/ দ্বিতীয় স্ক্রীন সর্ট ছবিতে চিহ্নিত শব্দটি 'الامي ' যার বাংলা অর্থ নিরক্ষর। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে এর তরজমা করা হয়েছে পড়াবিহীন।
৩। তৃতীয় স্ক্রীন সর্ট ছবিতে চিহ্নিত যে তরজমাটা করেছে তা এলোমেলো যাতে পাঠক তরজমাটার দিকে মন না দিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যাটা পড়ে নেয়।
৩১/০৫/১৯

১
২

Comments

Popular posts from this blog

Application for permission to visit National Museum.

মিলাদুন্নবী ও সূরা আহযাবের 56 নং আয়াত:

ইবাদতে মাইকের ব্যবহার নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন (প্রথম পর্ব)

রাসূল (সা) প্রতি সোমবারে রোজা রাখতেন কেন?

সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (রা) এর সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ