হাদিস কি ওহী?

প্রশ্নঃ হাদিস কি ওহী?

উত্তরঃ হাদিস ওহী নয়। হাদিসকে ওহী বা গাইরে ওহী বলাটা এক প্রকার অজ্ঞতা। হাদিসকে আল্লাহর সম্মতি মূলক বা তাকরীরি ওহী বলা যেতে পারে। কেননা রাসূল সাঃ এর যেসকল কথা, কাজ ও ইচ্ছায় আল্লাহর সম্মতি ছিল বা ওহী নাযিল করে অসম্মতি জানাননি সেইসকল কথা, কাজ ও ইচ্ছা বা সমর্থনকে তাকরীরি ওহী বলা যায়। আমাদের কাছে গ্রন্থ আকারে থাকা হাদিস কুরআনের মতো বিশুদ্ধ নয়। যেহেতু এগুলো কুরআনের মতো করে সংরক্ষণ করা হয়নি কিংবা পরবর্তীতে সংরক্ষণের সময় কুরআনকে মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করেনি। তাই সবগুলো হাদিসই সহীহ এমনটা বলা যায়না।
অদৃশ্য বা পূরবেকার যেসব কথা রাসূল সাঃ দেখেনি এমন বিষয়ে যেসকল কথা আমরা হাদিসের নামে পাই, তা মিথ্যা। কেননা এইসব তো ওহী বা গায়েবের সাথে সম্পরকিত। ওহী হলে কুরআনে থাকবে আর রাসূলুল্লাহ সাঃ তো গায়েব জানতেন না।
আমার কথা হলো, অদৃশ্য বিষয়গুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী নাযিল হওয়া ছাড়া তিনি সাঃ বলতে পারতেন না। আর ওহী নাযিল হলে অবশ্যই আমরা কুরআনে পাবো।
কুরআনের বাহিরে হাদিসের নামে যেসকল অদৃশ্য কথা আমরা পাই, তা আসলে হাদিস নয়। বরং এইসব মানুষের বানানো রূপকথার গল্প।
আসুন, হাদিস গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই কুরআনকে মানদন্ড হিসেবে গ্রহণ করি। তবেই আমরা সঠিক ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো। অন্যতায় অসত্য ও অনৈক্য আমাদের শেষ করে দিবে। প্রতিদিন নতুন নতুন দল বের হবে।
✍️ আবুবকর সিদ্দিক। ১০/১১/২২ দুবাই।

Comments

Popular posts from this blog

Application for permission to visit National Museum.

মিলাদুন্নবী ও সূরা আহযাবের 56 নং আয়াত:

ইবাদতে মাইকের ব্যবহার নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন (প্রথম পর্ব)

রাসূল (সা) প্রতি সোমবারে রোজা রাখতেন কেন?

সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (রা) এর সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ