সুন্নাহর আলোকে শাবান মাসের ফজিলত ও আমল
সুন্নাহর আলোকে শাবান মাসের ফজিলত ও আমল :
★★★★★★★★★★★★★★★★★★
আরবি মাসগুলোর মধ্যে অষ্টম মাস হচ্ছে শাবান মাস, শাবান মাসের পরেই আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজান। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় রমজানের সিয়ামের প্রস্তুতির মাস হচ্ছে শাবান মাস। রাসূলুল্লাহ (সা) রমজান মাসের সিয়ামের পর সবচেয়ে বেশি যে মাসে সিয়াম রাখতেন তা হলো শাবান মাস। শাবান মাস ব্যতীত এতো নফল সিয়াম অন্য মাসে রাখতেন না। এর কারণ ও অবশ্যই হাদিস থেকে পাওয়া যায়।
কারণগুলো হলো,
১। এই মাস রমজান মাসের প্রস্তুতির মাস।
২। এই মাসে বান্দার আমলনামা পেশ করা হয় আল্লাহর নিকট।
৩। এই মাসের মধ্যম রজনী তথা ১৫ ই শাবান রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের ক্ষমা করেন।
উল্লেখিত তিনটি বিষয় হচ্ছে শাবান মাসের ফজিলত ও আমল। এই ছাড়া শাবান মাস সম্পর্কে হাদীসে আর কিছুই পাওয়া যায়না। যদিও শাবান মাসের ইবাদত ফজিলত ও আমল বিষয়ক অনেক জাল হাদিস সমাজে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৫-ই শাবান (শবেবরাত) উদযাপন করা। মূলত এইটা একটি বিদাত আমল। কেননা এই রাতের ফজিলত বিষয়ক হাদিস বর্ণনা থাকলেও ঐ রাতে নফল নামাজ আদায় করতে হবে, কবর জিয়ারত করতে হবে, হালুয়া রুটি খেতে হবে এমন সব ধারণা বা আমল সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয় বরং এগুলো সুন্নাহ বহির্ভূত কাজ।
এইসব ধারণা ও আমল সাহাবাদের (রা) মধ্যে প্রচলিত ছিলনা।
মুহাম্মদ (সা) কে অনুসরণের উত্তম মাপকাঠি হচ্ছে সাহাবীগণ, যেহেতু তারা উত্ত রাত্রি উদযাপন করেননি। তাই তখন থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত অধিকাংশ মুসলমান এই রাত উদযাপন করেনা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এই রাত্রি একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই রাতে নফল নামাজ থেকে শুরু করে সারা রাত কবর জিয়ারত ও জিকির আজগরে লিপ্ত থাকে এই মুসলমানরা। যদিও এই সবের ব্যপারে কোন অকাট্য সহীহ্ দলিল নেই।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সুন্নাহর ভিতরে সীমাবদ্ধ রাখুক!
#আবুবকর_সিদ্দিক (06/05/17)।
★★★★★★★★★★★★★★★★★★
আরবি মাসগুলোর মধ্যে অষ্টম মাস হচ্ছে শাবান মাস, শাবান মাসের পরেই আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজান। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় রমজানের সিয়ামের প্রস্তুতির মাস হচ্ছে শাবান মাস। রাসূলুল্লাহ (সা) রমজান মাসের সিয়ামের পর সবচেয়ে বেশি যে মাসে সিয়াম রাখতেন তা হলো শাবান মাস। শাবান মাস ব্যতীত এতো নফল সিয়াম অন্য মাসে রাখতেন না। এর কারণ ও অবশ্যই হাদিস থেকে পাওয়া যায়।
কারণগুলো হলো,
১। এই মাস রমজান মাসের প্রস্তুতির মাস।
২। এই মাসে বান্দার আমলনামা পেশ করা হয় আল্লাহর নিকট।
৩। এই মাসের মধ্যম রজনী তথা ১৫ ই শাবান রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের ক্ষমা করেন।
উল্লেখিত তিনটি বিষয় হচ্ছে শাবান মাসের ফজিলত ও আমল। এই ছাড়া শাবান মাস সম্পর্কে হাদীসে আর কিছুই পাওয়া যায়না। যদিও শাবান মাসের ইবাদত ফজিলত ও আমল বিষয়ক অনেক জাল হাদিস সমাজে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৫-ই শাবান (শবেবরাত) উদযাপন করা। মূলত এইটা একটি বিদাত আমল। কেননা এই রাতের ফজিলত বিষয়ক হাদিস বর্ণনা থাকলেও ঐ রাতে নফল নামাজ আদায় করতে হবে, কবর জিয়ারত করতে হবে, হালুয়া রুটি খেতে হবে এমন সব ধারণা বা আমল সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয় বরং এগুলো সুন্নাহ বহির্ভূত কাজ।
এইসব ধারণা ও আমল সাহাবাদের (রা) মধ্যে প্রচলিত ছিলনা।
মুহাম্মদ (সা) কে অনুসরণের উত্তম মাপকাঠি হচ্ছে সাহাবীগণ, যেহেতু তারা উত্ত রাত্রি উদযাপন করেননি। তাই তখন থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত অধিকাংশ মুসলমান এই রাত উদযাপন করেনা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এই রাত্রি একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই রাতে নফল নামাজ থেকে শুরু করে সারা রাত কবর জিয়ারত ও জিকির আজগরে লিপ্ত থাকে এই মুসলমানরা। যদিও এই সবের ব্যপারে কোন অকাট্য সহীহ্ দলিল নেই।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সুন্নাহর ভিতরে সীমাবদ্ধ রাখুক!
#আবুবকর_সিদ্দিক (06/05/17)।
Comments
Post a Comment