Topic Gowsia Comitee Bangladesh .
প্রশ্নঃ আমি গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের সদস্য। এটি ধর্মভিত্তিক একটি সংগঠন হওয়ায় আমি এর সদস্য হয়েছি। এলাকার মুরুব্বী থেকে শুরু করে অনেক তরুণ ছেলে এই সংগঠনের সদস্য। কিন্তু আপনি কেন এই সংগঠনের সদস্য হচ্ছেন না?
উত্তরঃ যে সংগঠন ধার্মিকতাকে প্রাধান্য দেয়, মানুষকে নামাজের প্রতি উৎসাহিত করে, ধর্মীয় জ্ঞান চর্চায় কর্মীদের উৎসাহিত করে তাকেই স্বাভাবিকভাবে ধর্মীয় সংগঠন বলে। এই হিসেবে "গাউছিয়া কমিটি" কোন ধর্মীয় সংগঠন নয়। হয়তো এই কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীদের বেশিরভাগ সদস্য পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ ঠিক মতো আদায় করে কিনা সন্দেহ। এই সংগঠনটি মাসিক একটি পোগ্রাম দেয় মসজিদে। মাগরিবের নামাযে ৫ জন, মাগরিব নামযের পর থেকে প্রায় ২০-৩০ জন সদস্য পোগ্রামে থাকে। কিন্তু এশারের নামাযে সেখান থেকে ৫ জন পাওয়া যায়। এবার দেখুন, সংগঠনটি কি সেবা করছে আমাদের ধর্মের!! সংগঠনটি মানুষকে আল্লাহর ভয় দেখানোর পরিবর্তে কবরের মৃত ব্যক্তির প্রতি ভয় দেখানোর কাজ বেশি করে। তাইতো দেখা যায় এই সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্য ঠিকমতো সালাত আদায় না করলেও ঠিকমতো মাজারে যায়।
জ্ঞান অর্জনের জন্য কুরআন হাদিস বুঝে পড়ার কোন প্রয়োজনবোধ করেনা। শিয়াদের ন্যায় এরা ব্যক্তি পূজায় জড়িত বেশি। এই কারণে দেখা যায়, এরা আল্লাহর পরিবর্তে আল্লাহর বিভিন্ন নেক বান্দাদের গল্প কাহিনী বলে বেশি। তাদের অনেক কর্মী বা সমর্থকদের দেখি ঘরে বা গাড়িতে বিভিন্ন পীর বাবাদের (যেমন, তাহের শাহ, মালেক শাহ) ছবি জুলিয়ে রাখতে। হয়তো জেনে অবাক হবেন, খৃস্টানদের God TV এর পর পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় চ্যানেল Peace TV বন্দের জন্য এরা (গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন "ইসলামী ছাত্র সেনা") মিছিল করেছিল। অথচ তাদের উচিত ছিল স্টার জলসা, স্টারপ্লাস, জি টিভির ইত্যাদি ভারতীয় চ্যানেল বন্দের জন্য কোন মিছিল করা। অতএব, বুঝুন কিভাবে এই ধরনের সংগঠনের সদস্য হবো!!!
02/05/2018
Comments
Post a Comment