আল্লামা সাঈদীর ১৯৯৬ সালের সংসদীয় বক্তব্যের কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরলাম!!
আল্লামা সাঈদীর ১৯৯৬ সালের সংসদীয়
বক্তব্যের কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরলাম!!
*****************************************
মাননীয় স্পিকার! শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, এই
ব্যপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার মাধ্যমে
দেশ বাসীকে জানাতে চাই।
দেশের প্রায় সকল মহলের চরম বাধা
উপেক্ষা করে বর্তমান সরকার ড.খুদ্রতে খুদা
শিক্ষা রিপোর্ট বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে
যাচ্ছেন। খুদ্রতে খুদা কমিশন, শিক্ষা কমিশন
রিপোর্ট ১৯৭২ সনে ২৬ শে জুলাই তারিখে
তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মরহুম শেখ মুজিবুর
রহমান সাহেব ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন
করেন। খুদ্রতে খুদার নেতৃত্বে সেই কমিটি
পরের বছর জানুয়ারি মাসে ভারত সফর করেন।
দিল্লিতে এই ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এক মাস
থেকে ভারতীয় মুরব্বীদের নির্দেশে
তারা যে সুপারিশ মালা তৈরি করে বাংলাদেশে
ফিরে আসেন, সেই নীতিমালা, সেই শিক্ষা
কমিশন রিপোর্ট হচ্ছে বাংলদেশ থেকে
ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা নির্মুল করার রিপোর্ট।
(এই কথা বলার সাথে সাথেই আওয়ামী
লীগপন্তীরা সংসদে হৈচৈ শুরু করে দেয়)।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রথম
শ্রেণী থেকে, প্রথম শ্রেণী থেকে
অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত আরবি শিক্ষা দেওয়ার
ব্যবস্থা থাকবেনা। মাননীয় স্পিকার আমি আপনার
প্রটেকশন কামনা করছি, আমি আপনার
প্রটেকশন কামনা করছি। এই শিক্ষা ব্যবস্থার
ভিতরে রয়েছে, প্রথম শ্রেণী থেকে
অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত আরবি শিক্ষা ব্যবস্থা
থাকবেনা। এর ভিতরে বলা হয়েছে, ধর্মীয়
শিক্ষা মাত্র নবম ও দশম শ্রেণীতে দুই
পিরিউড মাত্র থাকবে তাও ঐচ্ছিক। বিগত ১১ ই জুন,
আমি তথ্য ভিত্তিক কথা বলতেছি,একটাও অসত্য
কথা আমি এখানে বলব না। গত ১১ ই জুন, ১১ ই
জুন তারিখে জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রণয়ন কমিটি,
তারা সাংবাদিক সাক্ষাৎকার করেছিল, সাংবাদিকদের
সাথে মতবিনিময় করতে গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রীর
সামনে বুয়েটের শিক্ষক আজগর আলী
সাহেব, তিনি সেখানে বলেছিলেন, ধর্ম
শিক্ষার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেছেন, ধর্ম
ব্যক্তিগত ব্যপার। ধর্ম শিক্ষা যারা করে তারা মানুষ
হত্যা করে।
মাননীয় স্পিকার! আপনি জানেন, বর্তমান
পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত আসত্য, অনৈতিকতা,
সমকামিতা, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, চাদাবাজী সহ সকল
কিছুর মোকাবেলায় ন্যায়, সততা এবং চরিত্র
কর্মকার মানুষের ইজ্জত আব্রুর জন্য যতটুকু
শিক্ষা বাকি আছে তা অবশ্যই ধর্ম শিক্ষার কারণে
অবশিষ্ট আছে। অথচ এই ধর্ম সার্বজনীন এই
শিক্ষা ব্যবস্থাকে বন্ধ করার জন্য আজগর
আলী সাহেব এর থেকে মারাত্মক কথা
বলেছেন, তিনি বলেছেন, আরব দেশে
মুহাম্মদ নাম রাখলে পরে গোটা বিশ্ব বাসী
তাকে সন্ত্রাসী বলে।
মাননীয় স্পিকার! এই বিশাল আকাশ, এই জমিন, এই
পৃথিবীর মানব গোস্টি,আকাশ সমুদ্র পৃথিবী,
যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার নবী মুহাম্মদ
(সা) এর নামে উতসর্গ করেছেন, সেই
নবীর নামে এতবড় কথা বলা হলো,
প্রতিবাদের ঝড় উড়ল অথচ সরকার কোনো
প্রতিবাদ করিনি। এর দ্বারা বুঝা যায় সরকার এদের
.....
মাননীয় স্পিকার! ব্লাসফেমি ধরনের, আমি
আপনার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে চাই,
ব্লাসফেমি ধরনের আইন পাশ করে এই
ধরনের নাস্তিক মুর্তাদদের পাসি কামনা করি। (হৈচৈ
শুরু)
মাননীয় স্পিকার! শিক্ষা মন্ত্রী, তিনি কমিটি গঠন
করেছেন, জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রনয়ণ কমিটি
গঠন করেছেন। সেই কমিটিতে তিনি
অযোগ্য, অনবিজ্ঞ, বিকৃত চিন্তার অধিকারী
নাস্তিক মুর্তাদ ধরনের কিছু লোককে
কমিটিতে নিয়েছেন (আবারো আওয়ামী
লীগ পন্তী এমপিরা হৈচৈ শুরু করে দেয়)।
কিন্তু দেশ বরণ্য, দেশ বরণ্য শিক্ষাবিদ
ড.বারী,আমি প্রটেকশন কামনা করি। (এসময় হৈচৈ
শুরু হলে স্পিকার বক্তাকে উদ্দেশ্য মাননীয়
সদস্য, মাননীয় সদস্য বলে কিছু বলতে
চেয়েছিল তাতে তিনি কর্ণপাত নাকরে বক্তব্য
চালিয়ে যান)
দেশ বরোণ্য শিক্ষাবিদ ড.বারী
....ড.সামোসের আলী, মৌলানা মঈনউদ্দিন খান,
মৌলানা ফজুলুল হক এই ধরনের লোকদের
কমিটিতে নিলিনা কেন?
(আবারো এমপিদের হৈচৈ এর সাথে স্পিকার
সাঈদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাননীয়
সদস্য, মাননীয় সদস্য আপনি সংসদের বাইরে
কাউকে কৌটুক্তি করে কিছু না বলার অনুরোধ
জানাচ্ছি এভাবে বার বার অনুরোধ করতেছিল
স্পিকার কিন্তু বক্তা তার বক্তব্য চালিয়ে যান)
আমি তথ্য ভিত্তিক কথা বলতেছি,(মাননীয়
সদস্য, মাননীয় সদস্য বলে তাকে থামাতে
চেষ্টা করেন এ সময় পুরো সংসদে হৈচৈ
চলতে থাকে) আমার একটি কথাও যদি তথ্য ছাড়া
হয় তবে এর জন্য আমি যেকোন পরিস্থিতি
মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। আমি কাউকে
কৌটুক্তিও করি নাই। মাননীয় স্পিকার! এই শিক্ষা
রিপোর্টে বাংগালী জাতীয়তাবাদ,
সমাজতন্ত্র,.... আমি নিষেধ করছি ..(এই সময়
আওয়ামী লীগের কোনো এমপি তাকে
রাজাকার বলে অভিযুক্ত করলে) মাননীয়
স্পিকার আমাকে রাজাকার বলা হয়েছে,
বাংলাদেশে এমন কোনো বাপের সন্তান নাই
যে আমাকে রাজাকার বলতে পারে। আমি
১৯৭৩ কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বা
কর্মী ছিলাম না। আমি রাজাকার নয়। যদি কেউ
প্রমাণ করতে পারে আমি তার জন্য ১০ কোটি
টাকার মানহানির ক্যাচ করব। ভারতের রাজাকার
তৈয়ুম্মুম চৌধুরী!
মাননীয় স্পিকার! ড. খুদ্রতে খুদা শিক্ষা কমিশন
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংগালী
জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরেপেক্ষ
মতবাদের কর্মী তৈরি করার জন্য। আপনি
জানেন, বর্তমান সংবিধানের ভিতরে বাংগালী
জাতীয়তাবাদের কোনো স্থান নাই,
সেখানে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের স্থান
রয়েছে। বর্তমান সংবিধানের ভিতরে ধর্ম
নিরেপেক্ষতার কোনো স্থান নাই।
সেখানে, আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও অবিচল
আস্তার কথা আছে। মাননীয় স্পিকার! বর্তমান
খুদ্রতে খুদা শিক্ষা কমিশন বাস্তবায়ন হচ্ছে
সংবিধান লংঘনের শামিল।
মাননীয় স্পিকার! মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি ১৯৯৬-৯৭
অর্থবছরে ...করা হয়েছিল ৯৭-৯৮ সালেও তাই
করা হয়েছে। বিগত বিএনপি সরকার তার
আমলের শেষ দিকে ২৯৩ টি মাদ্রাসাকে
সরকারি করনের জন্য তালিকাভুক্ত করেছিলেন।
কিন্তু বর্তমান সরকার ঐ ২৯৩ টি বাদদিয়ে নতুন
আরও ৮৯৬ প্রতিষ্ঠান কে mpo ভুক্ত
করেছেন। নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি তে
আমাদের আপত্তি নাই কিন্ত্তু ২৯৩ টি মাদ্রাসাকে
কেন সরকারি করা হবে না তা আপনার মাধ্যমে
আমি জানতে চাই? (আর চার মিনিট-স্পিকার)....
...ইবনে আব্দুল মালেক।
Comments
Post a Comment