শিয়াদের দান ঈদে মিলাদুন্নবী
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি।
তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা। সালাত ও সালাম মহান রাসূল, আল্লাহর হাবীব ও মানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ ও সঙ্গীদের উপর।
সলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এই দুটি উৎসব সকল মুসলিম একসাথে উদযাপন করে।
মূলত এই দুটি ঈদ উৎসব নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কোন বিরোধ বা মতভেদ নেই। এমনকি মুসলমানদের প্রধান দুটি দল শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যেও এই দুটি ঈদ নিয়ে কোন মতভেদ নেই। কারণ হচ্ছে মুসলমানদের এই দুটি উৎসব স্বয়ং মুহাম্মদ (সা) থেকে প্রমাণিত।
কিন্তু মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ (সা) এর তিরোধানের পর তার উম্মতের মধ্যে বিভিন্ন বিভক্তি ও মতভেদের সৃষ্টি হয়, সৃষ্টি হয় নতুন নতুন দল সাথে ইবাদত পদ্ধতি ও উৎসব।
এরূপ নতুন দলের নতুন একটি উৎসব হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী। জানা যায় রাসূলুল্লাহ (সা) এর ইন্তেকালের প্রায় ৫০০-৬০০ বছর পর আবু সাঈদ কুকূরী নামক একজন শিয়া সর্বপ্রথম রাসুলের জন্মদিন তথা মিলাদুন্নবী উদযাপন করেন। এর আগে কেউ মিলাদুন্নবী উদযাপন করেছে এই মর্মে কোন বিশুদ্ধ মত পাওয়া যায়না।
মূলত শিয়া সুন্নিদের মধ্যে বিভক্তির কারণ রাজনৈতিক হলেও পরবর্তীতে তা বিভিন্ন আক্বিদা আমলে রূপ নেয়। শিয়ারা এমন সব আক্বিদা ও আমল গ্রহণ করে রাসূল (সা) ও তার পরিবারবর্গকে কেন্দ্র করে যা সুন্নিদের দৃষ্টিতে একেবারেই ঘৃণ্য বিষয়ে পরিণত হয়। রাসূল (সা) ও তার পরিবারবর্গকে কেন্দ্র করে তাদের আক্বিদা ও আমলের বিপরীতে সুন্নিদের তারা আহলে বাইত বিদ্ধেসী হিসেবে প্রচার করতে শুরু করে। এমনকি তারা ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর (রা)কে পর্যন্ত তারা তাকফির করে বসে। আহলে বাইতের প্রতি অতি-ভক্তি কিংবা অন্ধ ভালবাসা তাদের নিত্যনতুন বিশ্বাস ও কর্মের উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। যার ফলস্রুতিতে তারা রাসূল (সা), হযরত আলী (রা), হযরত হাসান - হুসাইন (রা) এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে।
মূলত সুন্নিরা আহলে বাইতের ব্যপারে শিয়াদের এইসব আবেগি কাজগুলোকে ঘৃনা করত। সুন্নিদের ভাষায় রাসূলুল্লাহ (সা) যেসব কাজ করেনি তা মুসলমানদের করা কিছুতেই উচিত নয়।
এবং সুন্নিরা শিয়াদের এহেন আবেগি কাজ গুলোর প্রচন্ড বিরোধিতা করে থাকেন।
দূর্ভাগ্যবশত সুন্নিদের মধ্যেও শিয়াদের সৃষ্ট অনেক আবেগি আমল ঢুকে পড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশ তথা পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ। এই তিনটি দেশ সুন্নি অধ্যুষিত হলেও অজ্ঞতা, অতিভক্তি ও শিয়াদের মতো আহলে বাইতের প্রতি অন্ধভক্তির বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ তারাও শিয়াদের থেকে অনেক কিছুই গ্রহণ করেছে। ঈদে মিলাদুন্নবী তাঁরই একটি বড় উদাহরণ।
বর্তমান সময়ে কিছু দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়। যেমনঃ ইরান, সিরিয়া, ইরাক এবং সুন্নি অধ্যুষিত রাস্ট্র বাংলদেশ ও পাকিস্তান। সৌদিআরব সহ পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এখনো পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করেনা। সৌদিআরব এই ব্যপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
পৃথিবীর অধিকাংশ সুন্নি মুসলিম ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করাকে বিদাত মনে করেন। তাদের মতে, জন্মবার্ষিকী উদযাপন অমুসলিমদের আমল। এবং অমুসলিমদের অনুসরণ করে কোন ইবাদত করা ইসলামে হারাম।।।
08/11/16
তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা। সালাত ও সালাম মহান রাসূল, আল্লাহর হাবীব ও মানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ ও সঙ্গীদের উপর।
সলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এই দুটি উৎসব সকল মুসলিম একসাথে উদযাপন করে।
মূলত এই দুটি ঈদ উৎসব নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কোন বিরোধ বা মতভেদ নেই। এমনকি মুসলমানদের প্রধান দুটি দল শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যেও এই দুটি ঈদ নিয়ে কোন মতভেদ নেই। কারণ হচ্ছে মুসলমানদের এই দুটি উৎসব স্বয়ং মুহাম্মদ (সা) থেকে প্রমাণিত।
কিন্তু মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ (সা) এর তিরোধানের পর তার উম্মতের মধ্যে বিভিন্ন বিভক্তি ও মতভেদের সৃষ্টি হয়, সৃষ্টি হয় নতুন নতুন দল সাথে ইবাদত পদ্ধতি ও উৎসব।
এরূপ নতুন দলের নতুন একটি উৎসব হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী। জানা যায় রাসূলুল্লাহ (সা) এর ইন্তেকালের প্রায় ৫০০-৬০০ বছর পর আবু সাঈদ কুকূরী নামক একজন শিয়া সর্বপ্রথম রাসুলের জন্মদিন তথা মিলাদুন্নবী উদযাপন করেন। এর আগে কেউ মিলাদুন্নবী উদযাপন করেছে এই মর্মে কোন বিশুদ্ধ মত পাওয়া যায়না।
মূলত শিয়া সুন্নিদের মধ্যে বিভক্তির কারণ রাজনৈতিক হলেও পরবর্তীতে তা বিভিন্ন আক্বিদা আমলে রূপ নেয়। শিয়ারা এমন সব আক্বিদা ও আমল গ্রহণ করে রাসূল (সা) ও তার পরিবারবর্গকে কেন্দ্র করে যা সুন্নিদের দৃষ্টিতে একেবারেই ঘৃণ্য বিষয়ে পরিণত হয়। রাসূল (সা) ও তার পরিবারবর্গকে কেন্দ্র করে তাদের আক্বিদা ও আমলের বিপরীতে সুন্নিদের তারা আহলে বাইত বিদ্ধেসী হিসেবে প্রচার করতে শুরু করে। এমনকি তারা ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর (রা)কে পর্যন্ত তারা তাকফির করে বসে। আহলে বাইতের প্রতি অতি-ভক্তি কিংবা অন্ধ ভালবাসা তাদের নিত্যনতুন বিশ্বাস ও কর্মের উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। যার ফলস্রুতিতে তারা রাসূল (সা), হযরত আলী (রা), হযরত হাসান - হুসাইন (রা) এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে।
মূলত সুন্নিরা আহলে বাইতের ব্যপারে শিয়াদের এইসব আবেগি কাজগুলোকে ঘৃনা করত। সুন্নিদের ভাষায় রাসূলুল্লাহ (সা) যেসব কাজ করেনি তা মুসলমানদের করা কিছুতেই উচিত নয়।
এবং সুন্নিরা শিয়াদের এহেন আবেগি কাজ গুলোর প্রচন্ড বিরোধিতা করে থাকেন।
দূর্ভাগ্যবশত সুন্নিদের মধ্যেও শিয়াদের সৃষ্ট অনেক আবেগি আমল ঢুকে পড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশ তথা পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ। এই তিনটি দেশ সুন্নি অধ্যুষিত হলেও অজ্ঞতা, অতিভক্তি ও শিয়াদের মতো আহলে বাইতের প্রতি অন্ধভক্তির বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ তারাও শিয়াদের থেকে অনেক কিছুই গ্রহণ করেছে। ঈদে মিলাদুন্নবী তাঁরই একটি বড় উদাহরণ।
বর্তমান সময়ে কিছু দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়। যেমনঃ ইরান, সিরিয়া, ইরাক এবং সুন্নি অধ্যুষিত রাস্ট্র বাংলদেশ ও পাকিস্তান। সৌদিআরব সহ পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এখনো পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করেনা। সৌদিআরব এই ব্যপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
পৃথিবীর অধিকাংশ সুন্নি মুসলিম ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করাকে বিদাত মনে করেন। তাদের মতে, জন্মবার্ষিকী উদযাপন অমুসলিমদের আমল। এবং অমুসলিমদের অনুসরণ করে কোন ইবাদত করা ইসলামে হারাম।।।
08/11/16
Comments
Post a Comment