সূরা ফাতিরের ১৩-১৪ নং আয়াতের সংক্ষিপ্ত আলোচনা!



ذٰلِکُمُ اللّٰہُ رَبُّکُمۡ لَہُ الۡمُلۡکُ ؕ وَ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ مَا یَمۡلِکُوۡنَ مِنۡ قِطۡمِیۡرٍ - اِنۡ تَدۡعُوۡہُمۡ لَا یَسۡمَعُوۡا دُعَآءَکُمۡ ۚ وَ لَوۡ سَمِعُوۡا مَا اسۡتَجَابُوۡا لَکُمۡ ؕ وَ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ یَکۡفُرُوۡنَ بِشِرۡکِکُمۡ ؕ وَ لَا یُنَبِّئُکَ مِثۡلُ خَبِیۡرٍ
.....তিনি আল্লাহ, তোমাদের রব; সমস্ত কর্তৃত্ব তাঁরই, আর আল্লাহকে ছাড়া যাদেরকে তোমরা ডাকো তারা খেজুরের আঁটির আবরণেরও মালিক নয়। - যদি তোমরা তাদেরকে ডাক, তারা তোমাদের ডাক শুনবে না; আর শুনতে পেলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেবে না এবং কিয়ামতের দিন তারা তোমাদের শরীক করাকে অস্বীকার করবে। আর সর্বজ্ঞ আল্লাহর ন্যায় কেউ তোমাকে অবহিত করবে না। (সূরা ফাতির / ১৩-১৪)
অর্থাৎ আল্লাহ সকল মানুষের প্রতিপালক, এবং সকল কর্তৃত্ব আল্লাহর। মানুষেরা যেসব কবর বাসিদের আহবান করে সাহায্যের জন্য, তারা কিছুই দিতে পারেনা। কারণ তারা কোন কিছুর মালিক নয়, আল্লাহ উপমা দিয়ে বলেন, তারা খেজুরের আঁটির আবরণেরও মালিক নয়।" এরপর আল্লাহ আরও বলেন, কবর বাসী তোমাদের কোন আহবান শোনবেনা, যদি মনে করেন তারা (নবী, অলি- বুজুর্গ) তোমাদের আহবান শোনবে, তবে দেখ তারা সাড়া দেয় কিনা! হ্যাঁ তারা সাড়া দিবেনা। উপরন্তু তোমরা যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদের (নবী, অলি, বুজুর্গ) সাহায্যের জন্য আহবান করেছ, শির্ক করেছ কিয়ামতের দিন তারা তা অস্বীকার করবে। এবং বলবে, হে আল্লাহ আমরা কখনোই তাদের এই কথা বলিনি যে, আমরা তাদের সাহায্য করতে পারব। (তাদের অস্বীকার করার প্রক্রিয়া এইরকম হতে পারে এইটা কেবল একটি উদাহরণ)
কোরানের অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা তাদের এই শির্ক কর্মে লিপ্ত হওয়াকে সবচেয়ে বেশি পথভ্রষ্ট তা বলেছে এবং সাথে উপরোক্ত আয়াতের কথা গুলো উল্লেখ করেছেন।
وَ مَنۡ اَضَلُّ مِمَّنۡ یَّدۡعُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مَنۡ لَّا یَسۡتَجِیۡبُ لَہٗۤ اِلٰی یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ وَ ہُمۡ عَنۡ دُعَآئِہِمۡ غٰفِلُوۡنَ- وَ اِذَا حُشِرَ النَّاسُ کَانُوۡا لَہُمۡ اَعۡدَآءً وَّ کَانُوۡا بِعِبَادَتِہِمۡ کٰفِرِیۡنَ

"তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না? আর তারা তাদের আহবান সম্পর্কে উদাসীন।
আর যখন মানুষকে একত্র করা হবে, তখন এ উপাস্যগুলো তাদের শত্রু হবে এবং তারা তাদের ইবাদাত অস্বীকার করবে।" (সূরা আহকাফ: ৫-৬)
শিক্ষা ও সারসংক্ষেপঃ
১/ মুশরিকরা শুধু মূর্তি পূজা করতনা, তারা কবরে থাকা মৃত ব্যক্তিদের পূজা তথা আহবান করত।
২/ মৃত ব্যক্তিদের আহবান করাও শিরক।
৩/ মৃত ব্যক্তিরা সামান্য খেজুরের দানার উপর থাকা সাদা আঁটিরও মালিক নয়।
৪/ মৃত ব্যক্তিরা শোনেওনা আবার সাহায্যেও করতে পারেনা।
৫/ কিয়ামতের দিন তারা ভক্তদের এই শির্কি কর্মকান্ডকে অস্বীকার করবে।
অতঃপর সাবধান হও। আল্লাহ ছাড়া কারও ইবাদত যেমন করবেনা, ঠিক তেমনি আল্লাহ ছাড়া কারও নিকট দোয়া প্রার্থনা করবেনা। যদি করো, তবে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। জান্নাত হয়ে যাবে তোমাদের জন্য হারাম এবং জাহান্নাম হবে তোমাদের স্থায়ী ঠিকানা।
লেখকঃ আবুবকর সিদ্দিক। 


সূরা ফাতির ১৩-১৪ নং আয়াত। Surah al Fatiha 13-14.
Doah দোয়া, শির্ক, মাজার, মৃত ব্যক্তি সাহায্য করতে পারেনা।
সূরা ফাতিরের ১৩-১৪ নং আয়াতের সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

Comments

Popular posts from this blog

Application for permission to visit National Museum.

মিলাদুন্নবী ও সূরা আহযাবের 56 নং আয়াত:

ইবাদতে মাইকের ব্যবহার নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন (প্রথম পর্ব)

রাসূল (সা) প্রতি সোমবারে রোজা রাখতেন কেন?

সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (রা) এর সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ