ঈমাম আবূ হানিফা (রহঃ) এর সুন্নাহ প্রেম ও বিদাত বর্জনের অনন্য দৃষ্টান্ত!


ঈমাম আবূ হানিফা (রহঃ) এর সুন্নাহ প্রেম ও বিদাত বর্জনের অনন্য দৃষ্টান্ত!
ঈমাম আবূ হানিফা (রহঃ) এর সুন্নাহ প্রেম ও বিদাত বর্জনের অনন্য দৃষ্টান্ত!


প্রখ্যাত হানাফী ফকীহ আলাউদ্দীন কাসানী (৫৮৭ হি.) বলেনঃ ترك السنة اولى من فعل البدعة
“বিদ'আত কর্ম করার চেয়ে সুন্নাত কর্ম পরিত্যাগ করা উত্তম।” (১) অন্যত্র তিনি বলেনঃ
ترك البدعة فرض
“বিদ'আত বর্জন করা ফরয।” (২) এ বিষয়ে তিনি বিভিন্ন স্থানে বিস্তারিত আলােচনা করেছেন। হজ্ব ও ঈদুল আজহার তাকবীরের বিষয়ে সাহাবীগণের সুন্নাত উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, কোনাে কোনাে সাহাবী ৯ জিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ জিলহজ্ব আসর পর্যন্ত তাকবীর বলতেন। কেউ কেউ ৯ তারিখ ফজর থেকে ১০ তারিখ আসর পর্যন্ত তাকবীর বলতেন। ইমাম আবু হানীফা এ দ্বিতীয় সুন্নাতকে গ্রহণ করেছেন। তার মতের পক্ষে দলিল পেশ করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন ?
ইমাম আবু হানীফার দলিল হলাে, শব্দ করে তাকবীর বলা মূলত বিদআত। কারণ তাকবীর এক প্রকারের যিকির, আর যিকিরের ক্ষেত্রে সুন্নাত হলাে
চুপেচুপে যিকির করা। আল্লাহ বলেছেনঃ “তােমরা তােমাদের প্রভুকে ভয়ভীতির সাথে ও চুপে চুপে ডাক।” (সূরা আরাফ - ৫৫) রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ “নিঃশব্দে চুপে চুপে যিকিরই সবচেয়ে উত্তম
যিকির।” এছাড়া এভাবে যিকির করা আদব ও খুশুখুযু-ভয়ভীতির জন্য বেশি উপযােগী, আর রিয়া থেকে বেশি দূরে। এ কারণে সুস্পষ্ট বিশেষ দলিল ছাড়া চুপে চুপে যিকির করার এ মূলনীতি পরিত্যাগ করা যাবে না। শুধুমাত্র ৯ ও ১০ তারিখের বিষয়েই বিশেষ দলিল এসেছে। ১০ তারিখের পরে তাকবীরের ক্ষেত্রে যেহেতু সাহাবীগণ মতবিরােধ করেছেন, সেহেতু ১০ তারিখের পরে তাকবীর সুন্নাত হতে পারে বা বিদ'আতও হতে পারে। ... এ থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে (১০ তারিখের পরে) সশব্দে তাকবীর বলা কোনাে সাবধানতা নয়, সশব্দে তাকবীর বর্জন করাই সাবধানতা ; কারণ বিদ'আতকর্ম পালন করার চেয়ে সুন্নাতকর্ম বর্জন করা উত্তম। (৩)

১/ বাদাইউস সানায়ে - ১/১৭৪
২/ বাদাইউস সানায়ে - ১/২৫২
৩/ বাদাইউস সানায়ে ১/১৯৬
তথ্য সূত্রঃ (মরহুম খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহঃ) সাবেক অধ্যাপক, হাদিস বিভাগ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইহইয়াউস সুনান -১৯৪)

Comments

Popular posts from this blog

Application for permission to visit National Museum.

মিলাদুন্নবী ও সূরা আহযাবের 56 নং আয়াত:

ইবাদতে মাইকের ব্যবহার নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন (প্রথম পর্ব)

রাসূল (সা) প্রতি সোমবারে রোজা রাখতেন কেন?

সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (রা) এর সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ