দ্বীনের ফাউন্ডেশন হল সালাত।
যদি কখনো খুব মনোযোগ দিয়ে বহুতল ভবন
নির্মাণের প্রক্রিয়াটা খেয়াল করেন
তাহলে দেখবেন, অনেক সময়, অর্থ ব্যয় করে
প্রথমে নিচের ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়।
এটা করতেই মূলত সবচেয়ে বেশী অর্থ ব্যয়
হয়,
সময়ও বেশী লাগে। এরপরের কাজটুকু খুব দ্রুত
হয়ে যায়। আল্লাহর দ্বীনকে যদি এই বহুতল
ভবন নির্মাণের সাথে তুলনা করা হয়
তাহলে এই দ্বীনের সেই ফাউন্ডেশন হল
সালাত।
,
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন_
"সবকিছুর মূল হল ইসলাম, আর ইসলামের খুঁটি
সালাত, আর ইসলামের শীর্ষ পীঠ (চূড়া/
ছাদ) হল জিহাদ।" [তিরমিযি:৩৫৪১]
.
কোন ভবন কতটা শক্তিশালি আর ঝুকিমুক্ত
সেটা যেমন নির্ভর করে নিচের
ফাউন্ডেশনের উপর ঠিক তেমনি একজন
মুমিনের ঈমানের একাগ্রতার মাপকাটি হল
সালাতের প্রতি তার মনোভাব। অথচ
আজকে মুসলিম উম্মাহ এই সালাতকেই
ছেড়ে দিয়েছে। সালাত চলে যাচ্ছে, যে
যার কাজে ব্যস্ত, মানুষ নাচছে, গাইছে,
ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে। সবকিছুর জন্য তার
সময় আছে, শুধু সালাতের টাইমেই দুনিয়ার
সব ব্যস্ততা এসে ভর করে। অথচ এটা এমন এক
ইবাদাত যার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক অন্ধ
সাহাবীকেও মসজিদে জামাতে সালাত
আদায় থেকে অব্যাহতি দেননি। এটা এমন
এক ইবাদাত হাশরের মাঠে যার হিসেব
প্রথমেই নেওয়া হবে।
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের শেষ সময়। মসজিদে সালাত
আদায় করার মত শারীরিকভাবে সমর্থ নন।
আবু বকর (রাঃ) এর ইমামতিতে সবাই
ফজরের সালাতে দাঁড়ালো। মসজিদ থেকে
তিলাওয়াতের শব্দ শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিছানা থেকে
উঠলেন, জানালার পর্দা সরিয়ে দেখলেন,
দেখলেন তার সাথীরা কাঁধে কাধ মিলিয়ে
সারিবদ্ধভাবে তাদের রবের সামনে
দাঁড়িয়েছে। দৃশ্যটা এত সুন্দর, মনোরম ছিল
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মুচকি হাসলেন। কেননা তিনি সারাজীবন
ধরে যে তারবিয়াত আর দাওয়াত দিয়ে
বেড়িয়েছেন তার ফল তিনি এখন দেখছেন।
যার জন্য তিনি রক্ত ঝরিয়েছেন, যুদ্ধ
করেছেন, প্রিয়জন হারিয়েছেন, এটাই তো
তার ফল। সালাত কায়েম হবে, মুসলিমরা
মুয়াজ্জিনের ডাকে একসাথে ঘর থেকে
বেরিয়ে আসবে, একসাথে সালাতে
দাঁড়াবে, এটাই তো ঐক্য, এটাই তো দ্বীনের
ভিত্তি। অথচ সেই সালাতকেই আমরা
অবহেলা করি, সেই সালাতকেই ছেড়ে দিই।
সালাতই যদি ছেড়ে দিলাম তাহলে আর রইল
কি। কিছুই না।
,
আল্লাহ আমাদের সালাতকে শক্তভাবে
আঁকড়ে ধরার তৌফীক দিন।
# আমীন।
copy from Saifur Rahman
নির্মাণের প্রক্রিয়াটা খেয়াল করেন
তাহলে দেখবেন, অনেক সময়, অর্থ ব্যয় করে
প্রথমে নিচের ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়।
এটা করতেই মূলত সবচেয়ে বেশী অর্থ ব্যয়
হয়,
সময়ও বেশী লাগে। এরপরের কাজটুকু খুব দ্রুত
হয়ে যায়। আল্লাহর দ্বীনকে যদি এই বহুতল
ভবন নির্মাণের সাথে তুলনা করা হয়
তাহলে এই দ্বীনের সেই ফাউন্ডেশন হল
সালাত।
,
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন_
"সবকিছুর মূল হল ইসলাম, আর ইসলামের খুঁটি
সালাত, আর ইসলামের শীর্ষ পীঠ (চূড়া/
ছাদ) হল জিহাদ।" [তিরমিযি:৩৫৪১]
.
কোন ভবন কতটা শক্তিশালি আর ঝুকিমুক্ত
সেটা যেমন নির্ভর করে নিচের
ফাউন্ডেশনের উপর ঠিক তেমনি একজন
মুমিনের ঈমানের একাগ্রতার মাপকাটি হল
সালাতের প্রতি তার মনোভাব। অথচ
আজকে মুসলিম উম্মাহ এই সালাতকেই
ছেড়ে দিয়েছে। সালাত চলে যাচ্ছে, যে
যার কাজে ব্যস্ত, মানুষ নাচছে, গাইছে,
ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে। সবকিছুর জন্য তার
সময় আছে, শুধু সালাতের টাইমেই দুনিয়ার
সব ব্যস্ততা এসে ভর করে। অথচ এটা এমন এক
ইবাদাত যার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক অন্ধ
সাহাবীকেও মসজিদে জামাতে সালাত
আদায় থেকে অব্যাহতি দেননি। এটা এমন
এক ইবাদাত হাশরের মাঠে যার হিসেব
প্রথমেই নেওয়া হবে।
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের শেষ সময়। মসজিদে সালাত
আদায় করার মত শারীরিকভাবে সমর্থ নন।
আবু বকর (রাঃ) এর ইমামতিতে সবাই
ফজরের সালাতে দাঁড়ালো। মসজিদ থেকে
তিলাওয়াতের শব্দ শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিছানা থেকে
উঠলেন, জানালার পর্দা সরিয়ে দেখলেন,
দেখলেন তার সাথীরা কাঁধে কাধ মিলিয়ে
সারিবদ্ধভাবে তাদের রবের সামনে
দাঁড়িয়েছে। দৃশ্যটা এত সুন্দর, মনোরম ছিল
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মুচকি হাসলেন। কেননা তিনি সারাজীবন
ধরে যে তারবিয়াত আর দাওয়াত দিয়ে
বেড়িয়েছেন তার ফল তিনি এখন দেখছেন।
যার জন্য তিনি রক্ত ঝরিয়েছেন, যুদ্ধ
করেছেন, প্রিয়জন হারিয়েছেন, এটাই তো
তার ফল। সালাত কায়েম হবে, মুসলিমরা
মুয়াজ্জিনের ডাকে একসাথে ঘর থেকে
বেরিয়ে আসবে, একসাথে সালাতে
দাঁড়াবে, এটাই তো ঐক্য, এটাই তো দ্বীনের
ভিত্তি। অথচ সেই সালাতকেই আমরা
অবহেলা করি, সেই সালাতকেই ছেড়ে দিই।
সালাতই যদি ছেড়ে দিলাম তাহলে আর রইল
কি। কিছুই না।
,
আল্লাহ আমাদের সালাতকে শক্তভাবে
আঁকড়ে ধরার তৌফীক দিন।
# আমীন।
copy from Saifur Rahman
Comments
Post a Comment